আমাদের সম্বন্ধে

অন্য সকল মহাকাব্যের মতই বিজ্ঞানের গল্পও শুরু হয় “সে অনেককাল আগের কথা” দিয়ে। সেই প্রাচীনকালে, মানুষ যখন চিন্তা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে; তখন থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকৃতিকে বুঝতে চেয়েছে, ব্যাখ্যা করতে চেয়েছে। মানবপ্রজাতির সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিক যাত্রাতেই, ধীরে ধীরে আমরা আজকের বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাগুলোতে উপনীত হয়েছি।

আমাদেরকে দুটো জিনিস মনে রাখতে হবে। এক, এই যাত্রা সম্ভব হয়েছে পরিচিত ধারণার বাইরে বের হয়ে নতুন চিন্তা করতে সক্ষম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য। আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই। আর দুই, যাত্রা শেষ হয়ে যায়নি। একজনের পর একজন নতুন চিন্তার মশাল বহন করেছেন বলেই আজ আমরা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমাদের প্রজন্মকে আরো বেশি করে বিজ্ঞানঘেঁষা হতে হবে, আরো বেশি করে বিজ্ঞানচর্চা করতে হবে। সেই চিন্তার জায়গা থেকেই “বিজ্ঞানযাত্রা”-র সূত্রপাত।

আমাদের চেষ্টা থাকবে – একদম সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার জন্য, যাতে বিজ্ঞানের প্রতি তরুণ সমাজ আগ্রহী হয়। ছোটোবেলা থেকে বিজ্ঞানের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে একসময় ওরাই বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠবে। পাশাপাশি চেষ্টা করে যাবো, কীভাবে চিন্তা করতে হবে, সেই রাস্তাটার সন্ধান দিতে। আশা করি, সব বয়সীদের কাছেই সমানভাবে উপভোগ্য হবে আমাদের প্রয়াস। আর অনুরোধ থাকবে, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিজ্ঞানের এই যাত্রাকে শক্তিশালী করবেন।

বিজ্ঞানের নতুন নতুন ঘটনার সাথে আপডেট থাকতে, সহজে এবং মজাদার উপায়ে বুঝে নিতে আমাদের সাথে থাকুন। বিজ্ঞানের জয় হোক!

ফরহাদ হোসেন মাসুম
প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানযাত্রা