আমরা “ডারউইন” নামটার সাথে খুব পরিচিত। বিবর্তন বা ইভোলিউশন তত্ত্বের নাম শুনি আর নাই শুনি, এই বিষয়ে স্পষ্ট জানি আর নাই জানি, এটুকু শুনেছি যে, “ডারউইন” নামের এক লোক ছিলেন। জেনেছি যে, তিনি অতি বিতর্কিত কিছু বিষয় বলে গেছেন। আর বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মানবজাতির কৌতূহলো অত্যন্ত বেশি বলে আমরা আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটির চেষ্টা করি। খেয়াল করুন “আরেকটু” কথাটা। আরেকটু ঘেঁটে দেখি বিতর্কিত বিষয়টা হলো – “বাঁদর থেকে মানুষের উৎপত্তি”! ব্যস, হয়ে গেলো! অল্প বিদ্যা যে ভয়ংকরী, সেটা আবারও প্রমাণিত হয় আমাদের “আরেকটু” ঘাঁটাঘাঁটিতে। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে হলে সেই বিষয় নিয়ে “অনেক” ঘাঁটাঘাঁটি করা কেন যেন হয়ে উঠে না বেশিরভাগ মানুষের। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে, অন্তর্জালের আন-অথেন্টিক উৎস থেকে পাওয়া তথ্য পড়ে সেগুলো মাথায় সেট করে ফেলি আমরা। এজন্যেই চার্লস ডারউইন নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য ভুল ধারণা জন্ম নেয়। যেমন, আমরা ভাবিঃ
১) ডারউইন বিবর্তন তত্ত্বের জনক (যা একটি ভ্রান্ত ধারণা)
সত্য হলো, ডারউইন বিবর্তন তত্ত্বের জন্ম দেননি। তার আগেও এই তত্ত্বটি সম্পর্কে বলে গেছেন অনেক মানুষ। তাদের মধ্যে উল্লেখ করা যায় সক্রেটিস-পূর্ব গ্রিক দার্শনিক অ্যানাক্সিমেন্ডার এবং এম্পেডোক্লেস-এর নাম। তারা প্রস্তাব করেছিলেন, “একটি নির্দিষ্ট ধরনের প্রাণ থেকে অন্য ধরনের প্রাণের উৎপত্তি ঘটতে পারে।” ৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণকারী রোমান কবি এবং দার্শনিক লুক্রেশাস-ও এম্পেডোক্লেসের মতবাদ সমর্থন করে গেছেন। চার্লস ডারউইনের পিতামহ “এরাসমাস ডারউইন” প্রস্তাব করেছিলেন, সকল উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হয়তো একটি একক ক্ষুদ্র প্রাণ থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। ১৭৯৬ সালে প্রকাশিত তার Zoonomia গ্রন্থে তিনি ‘Generation‘ নামক অধ্যায়ে বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বেশ কিছু অনুমান প্রকাশ করেন। এসকল অনুমানকেই “আধুনিক বিবর্তন তত্ত্বের পূর্বাভাস” হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব অনুমান সম্পর্কে পরবর্তীতে জ্যঁ ব্যাপ্টিস্ট ল্যামার্কও স্বতন্ত্রভাবে ধারণা দেন। আর ১৮০৯ সালে প্রকাশিত ল্যামার্কের “Transmutation” তত্ত্বটিকে বলা হয় বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, সবার প্রিয় ডারউইন দাদু ছাড়াও আরও অনেকে বিবর্তন নিয়ে চিন্তা করেছেন এবং নিজেদের মতামত দিয়েছেন। কারো মতামতের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিন্তকের চিন্তাভাবনা পরিচালিত হয়েছে, কারো মতামত পুরোপুরি বাতিল হয়ে গেছে। আর চার্লস ডারউইন শুধু ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে “প্রাকৃতিক নির্বাচন”-এর মাধ্যমে বিবর্তন প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হয়। এজন্য এই তত্ত্বটিকে ডারউইনের নাম জুড়ে দিয়ে ইংরেজিতে বলে “Darwin’s theory of Evolution” এবং বাংলায় বলে “ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব”। তেমনিভাবে ল্যামারকের তত্ত্বটিকে বলে “ল্যামার্কিজম” বা “ল্যামার্কিয়ান ইভোলিউশন”।
বিবর্তন সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা কতো আগে থেকে শুরু হয়ে যুগ যুগ ধরে কীভাবে নানা মানুষের মাথায় এসেছে, সেটা সম্পর্কে আস্ত একটা প্রবন্ধই আছে উইকিপিডিয়ায়।
২) ডারউইন বলেছেন “বাঁদর থেকে মানুষ হয়েছে” (যা একটি মারাত্মক ভ্রান্ত ধারণা)
সত্য হলো, ডারউইন কখনও বলেননি যে, বাঁদর থেকে মানুষ এসেছে। তিনি যা বলেছেন তাকে সরলীকরণ করলে দাঁড়ায়, বাঁদর এবং মানুষের পূর্বপুরুষ ছিলো একই প্রজাতি। অর্থাৎ আজকের দিনে দুটো ভিন্ন প্রজাতির প্রাণি হিসেবে পরিচিত “মানুষ” এবং “বাঁদর”, দুটো ভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে আসেনি। তারা এসেছে একই পূর্বপুরুষ থেকে। যেমনটা আপনার বাবা এবং আপনার চাচা এসেছেন একই ঠাকুরদার কাছ থেকে, তেমনি। কালক্রমে আপনার বাবা এবং চাচার বংশ দুটো ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে থাকবে। একই ঘটনা ঘটেছে বাঁদর এবং মানুষের বংশের সাথে। দুই প্রজাতি দুটো ভিন্ন দিকে বিকশিত হতে হতে আজকে একেবারেই আলাদা হয়ে গেছে। দেখে অন্তত বুঝার উপায় নেই যে, একসময় আমরা খালাতো-মামাতো ভাইবোন ছিলাম।
যদি প্রশ্ন করেন, কেন একজন সাধারণ পূর্বপুরুষ (common ancestor) থেকে দুটো ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভব ঘটলো?
উত্তর হবে, ছোট ছোট মিউটেশনের কারণে এই ঘটনা ঘটে।
মিউটেশন (Mutation) কী?
মিউটেশন হল ডিএনএ-তে অবস্থিত জীনে ঘটা কোনো স্থায়ী পরিবর্তন। একটা মানুষ শারীরিক, মানসিক দিক দিয়ে কী কী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবে, সেটা লিখিত থাকে তার ডিএনএ-তে অবস্থিত “জীন” নামক অংশে। এই জীনে কোনো স্থায়ী পরিবর্তন ঘটলে তাকে মিউটেশন বলে। যেমন, মানুষের গর্ভে জন্মালে মানুষের বাচ্চার দুই হাত, দুই পা থাকবে – এমনটাই নির্দেশনা থাকে জীনে। যদি কোনো কারণে তার জীনে মিউটেশন ঘটে, তাহলে হয়ত দেখা গেলো দুই পায়ের বদলে সে তিন পা নিয়ে জন্মালো। তবে এক প্রজন্মে মিউটেশন কখনও এত প্রকট আকারে হয় না যে, মানুষের বাচ্চা মিউটেটেড হয়ে গরু হয়ে জন্মাবে। অল্প অল্প করে মিউটেশন ঘটে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। খালি চোখে ধরা পড়তে নাও পারে যে, মিউটেশন ঘটছে। কিন্তু প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, সেগুলো জমা হতে হতে নতুন একটা প্রজাতি সৃষ্টি করতে পারে। ডারউইনের আমলে জেনেটিক্স সম্পর্কে কোনো জ্ঞান প্রচলিত ছিলো না বলে “মিউটেশন” সম্পর্কে তিনি জানতেন না। তাই এটা দিয়ে জীবকুলের বিবর্তন ব্যাখ্যা করে যেতে পারেননি। কিন্তু আজ আমরা জেনেটিক্স সম্পর্কে জানি বলে মিউটেশন দিয়ে সহজভাবে বিবর্তন ব্যাখ্যা করে ফেলছি। তারপরও যদি অধিকাংশ মানুষ বিবর্তন প্রক্রিয়া বুঝার এই সুবিধাটা না নেয়, তাহলে দুঃখ রাখার জায়গা থাকে না।
– কীভাবে আমরা এই সুবিধা নিতে পারবো?
: অথেনটিক বই পড়ে, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পড়ে!
– এতকিছু পড়ার ধৈর্য নাই। অন্য কোনো উপায় আছে?
: হ্যাঁ, আছে। ঘুমিয়ে থাকা।
কেউ যদি বিস্তারিত জানার জন্য কষ্ট করতে না চায়, কিন্তু জানার বাসনা নিয়ে দু’লাইন পড়ে ভাবে, “অতি উত্তম। অন্যরা তো এক লাইনও জানে না”; তারপর যারা সত্যিকার অর্থে ব্যাপারটা সম্পর্কে জানে, তাদের সাথে অযৌক্তিক তর্কে নামে, তাহলে ব্যাপারটাকে কী বলা যায়?
এত বড় ভূমিকার কারণ হলো, আমি এখন চার্লস ডারউইন সম্পর্কিত দুটো বই নিয়ে আলোচনা করবো। ব্যাপারটা অনেকটা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া হয়ে গেলো। কিন্তু কী করবো, বলুন? বিবর্তন শব্দটা শুনলেই অনেকে এমন আঁতকে উঠেন যে, তাদের প্রথমে আশ্বস্ত করে নিতে হয়।
যারা বিবর্তন নিয়ে জানতে চান, তারা দুটো বই পর্যায়ক্রমে পড়ে দেখতে পারেনঃ
১) ডারউইনঃ বিগ্ল্-যাত্রীর ভ্রমণকথা
২) চার্লস ডারউইন এবং প্রজাতির উৎপত্তি
প্রথমটা লেখা হয়েছে ডারউইন যখন বিগল জাহাজে করে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন, নানারকম উদ্ভিদ-প্রাণি-ভূতত্ত্ব সম্পর্কিত স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিলেন, সংগ্রহ করতে করতে বাইবেলে বর্ণিত সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন, হাজারও প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন, প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেই ভেবে বের করতে চাচ্ছিলেন – সেই সময়কার কাহিনি।
দ্বিতীয় বইয়ে লেখা হয়েছে, ডারউইন যখন বিগল জাহাজে ভ্রমণ শেষে ইংল্যান্ডে ফিরলেন, নিজের সংগৃহীত স্যাম্পল নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন, এবং মাথা খাটিয়ে বহু বছরের ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটানোর পথে হাঁটা শুরু করলেন – সেই সময়ের কাহিনি। বই দুটো যদিও সংক্ষিপ্তাকারে লেখা হয়েছে, তারপরও বিবর্তন বুঝার ব্যাপারটা শুরু করার জন্য এরকম ভালো উৎস পাওয়া দুষ্কর।
দেবীপ্রসাদ চৌধুরীর “যে গল্পের শেষ নেই”, বন্যা আহমেদের “বিবর্তনের পথ ধরে”, শেখর রঞ্জন সাহার “বিবর্তনের গল্প” বইগুলোও বিবর্তন প্রক্রিয়া বুঝার জন্য ভালো বই। কিন্তু সেগুলো লেখা হয়েছে লেখকদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এই দুটো বই স্বয়ং ডারউইনের লেখা, নিজের ভাষায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত নিসর্গী ডঃ দ্বিজেন শর্মা। তাই চার্লস ডারউইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবর্তন বুঝতে হলে এই দুটো বাংলা বইয়ের তুলনা নেই!
“ডারউইনঃ বিগ্ল্-যাত্রীর ভ্রমণকথা”
দারুণ একটা বই!
বইটিতে জায়গা পেয়েছে ২২ বছর বয়সী শৌখিন প্রকৃতিবিদ ডারউইনের জাহাজ ভ্রমণের কথা। অবশ্য এটা শুধু ভ্রমণ ছিলো না। কারণ বিগল জাহাজে করে ঘোরার সুযোগ পাওয়ার পেছনের কারণ ছিলো, নতুন নতুন জায়গার ভূতত্ত্ব, প্রাণি ও উদ্ভিদকূল সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ। এ কারণে ৫ বছর ধরে ডারউইনকে ঘুরতে হয়েছে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, চিলি, গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ, তাহিতি দ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত মহাসাগরের কেলিং দ্বীপ, দক্ষিণ অতলান্তিক মহাসাগরে অবস্থিত সেন্ট হেলেনা দ্বীপ ইত্যাদি জায়গায়। সংগ্রহ করতে হয়েছে জায়গাগুলোর ভূতত্ত্ব, প্রাণি ও উদ্ভিদকূলের স্যাম্পল। সেগুলো পাঠাতে হয়েছে ইংল্যান্ডের ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ অধ্যাপক স্টিভেন হেনস্লোর কাছে।
বেশিরভাগ সময়ই আমরা ডারউইনের ভ্রমণ মানে “গ্যালাপাগোস” দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ পড়ি। কিন্তু তিনি অন্যান্য দেশ ঘুরেও কম নমুনা সংগ্রহ করেননি! তার উপর যে জায়গায়ই গেছেন, সেখানকার সমাজ, প্রথা, ঐতিহ্য, খাদ্য ইত্যাদি সম্পর্কে নোট করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন লিখে রেখেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা। মোট ২৪টা ডায়েরি জমে গিয়েছিলো তার ৫ বছরের ভ্রমণে। সেই ডায়েরিগুলোই সংকলিত করে তৈরি হয়েছে এই বইটি। মূল ইংরেজি বই থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা। অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে, সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে অনেক তথ্যই বাদ দিতে হয়েছে। তারপরও বইটা যথেষ্ট তথ্যবহুল।
এই বইয়ের মাধ্যমেই আমরা দেখি ঈশ্বরের সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাসী চার্লস ডারউইন ধীরে ধীরে সরে আসছেন তার বিশ্বাস থেকে। উনবিংশ শতাব্দীতে এই সরে আসার ব্যাপারটা ছিলো অত্যন্ত সাহসের একটা কাজ, এবং অবশ্যই সমাজ বিরোধী। কিন্তু নিজের চোখে যা দেখছেন ডারউইন, নিজের মাথা খাটিয়ে যে ধারণাগুলো বের করছেন, সেগুলো নিয়ে ভাবলে “ছয়দিনে ঈশ্বরের পৃথিবী সৃষ্টি করার কাহিনি”তে অবিশ্বাস জন্মানো অসম্ভব নয়।
ঐ আমলে মানুষ বিশ্বাস করতো, মহাপ্রলয়ের/মহাপ্লাবনের সময় যেসব প্রাণি নূহের নৌকায় উঠতে পারেনি, তারাই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু আর্জেন্টিনার ভূগঠনে মহাপ্রলয়জাত কোনো পরিবর্তন না দেখে ডারউইন আশ্চর্য হয়েছলেন। ভাবছিলেন, মহাপ্রলয় না ঘটলেও কেন কিছু কিছু প্রজাতি নির্বিশেষে বিলুপ্ত হয়ে যায়? সে সময় চার্লস লায়েল নামক একজন ভূতত্ত্ববিদ তার “Principle of Geology” বইয়ে (১৮৩০ সালে প্রকাশিত) ভূপৃষ্ঠের গঠনের পরিবর্তনের জন্য মহাপ্লাবনকে আমল না দিয়ে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা, সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাকে গুরুত্ব দেন। এই বই পড়ে ডারউইনের মাথায়ও একই চিন্তা খেলতে শুরু করলো। ফলে বাইবেলে বর্ণিত ঘটনাগুলোর সত্যতা সম্পর্কে তার মনে সন্দেহ জন্মালো। জন্মাবে নাই বা কেন? বইটা পড়তে শুরু করলে আপনার মনেও হাজারটা প্রশ্ন দেখা দেবে।
যা হোক, আর না বলি! কারণ বইয়ে এমন কিছু বর্ণনা আছে ডারউইন সম্পর্কে, তার ভ্রমণ সম্পর্কে, যা আপনাকে চমকে দেবে। আপনি চিন্তা করবেন, “ওয়াও! ডারউইন তাহলে এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও গেছেন বিগল যাত্রার সময়?… তাহলে তিনি এমন বৈশিষ্ট্যের মানুষ ছিলেন?… তাহলে তিনি এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন?…”
[দ্বিতীয় বই নিয়ে আলোচনা আসছে শীঘ্রই]।
অসাধারণ লেখা! বিশেষ করে “১) ডারউইন বিবর্তন তত্ত্বের জনক (যা একটি ভ্রান্ত ধারণা)”, এই পয়েন্টের অনেক তথ্য আমি নিজেও নতুন করে জানলাম। ধন্যবাদ নির্ঝর রুথ! অসাধারণ লেখনী শক্তির মাধ্যমে আরেকটা দারুণ লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্যে।
মন্তব্যকারীর প্রতি একরাশ ভালোবাসা!
অসাধারণরিভিউ