সবুজ বাংলাদেশ ২৪ খবর প্রকাশ করেছে যে কে নাকি ডারউইনের জীবাশ্ম থিওরিকে ভুল প্রমাণ করে ফেলেছে! বেশ অনেক জায়গায় এ ধরনের ইচ্ছাকৃত ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লেখাটা শেয়ার হচ্ছে দেখে এটার বিরুদ্ধে কিছু লেখাটা অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরুতেই এই কলামটার কিছু ভুল তুলে ধরছি। এরপর যে ভুয়া গবেষণা প্রবন্ধের উল্লেখ করা হচ্ছে, সেটার এবং সেই জার্নালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করবো।
১) সবুজ বাংলাদেশের রিপোর্টের অসততা
সবুজ বাংলাদেশ ২৪ এর খবর থেকে স্ক্রিনশট নিলাম। নিচের ক থেকে ঙ পর্যন্ত নাম্বারগুলোর দিকে খেয়াল করুন।
ক-তে দেখা যাচ্ছে এই গবেষণা প্রবন্ধ নাকি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্রকাশিত এবং খ-তে দেখা যাচ্ছে এটা নাকি লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকাশিত। ক্যালিফোর্নিয়া আর লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে প্রায় দুই হাজার মাইল। এইভাবে ধরা খাওয়ার আগে একটু গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে নিলেও পারতো। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি অন্য কোনো প্রদেশ থেকে কেন জার্নাল ছাপাতে যাবে? আর আমি নিজেই লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছি। এই প্রবন্ধ আমার ভার্সিটি থেকে বের হয়নি। আর লুইজিয়ানা বানানটা যে ভুল করেছে, সে কথা না হয় না-ই বললাম। বানান ভুল ধরতে গেলে আজকে আর এই লেখা শেষ করতে পারবো না।
গ-তে দেখতে পাচ্ছি, প্রবন্ধটা নাকি আমেরিকান জার্নাল অফ লাইফ সায়েন্স রিসার্চ এর তৃতীয় ভলিউমের সাত নাম্বার ইস্যুতে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ, অনেক কষ্টে তাদের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার পর দেখলাম যে, জার্নালের আসলে কোনো মা-বাপ নাই, ওয়েবসাইটের ঠিকানাও দেখলাম পাল্টে গেছে। এবং সবকিছুর পর দেখলাম, ওদের তৃতীয় ভলিউমে চারের পরে কোনো ইস্যু নাই, সাত তো দূরের কথা।
পরে খোঁজাখুঁজি করে দেখলাম তৃতীয় ভলিউমের প্রথম ইস্যুতে লেখাটা আছে। লেখার ভুল নিয়ে আসছি পরের সেকশনেই।
ঘ-তে দেখা যাচ্ছে, তার এক পেপার দিয়েই তিনি নাকি জীবাশ্ম থিওরি ভুল প্রমাণ করে ফেলেছেন, মানুষের বিবর্তন তত্ত্বও ভুল প্রমাণ করে ফেলেছেন, পৃথিবীর বয়সও নাকি ভুল প্রমাণ করে ফেলেছেন, আবার পাখির উৎপত্তি যে ডায়নোসর থেকে হয়নি, তাও নাকি প্রমাণ করে ফেলেছেন। যে-ই এই আবর্জনা প্রসব করেছে, গবেষণা প্রবন্ধ সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। গবেষণা প্রবন্ধ একসাথে এতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না, প্রত্যেকটার পেছনে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক তথ্য আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এই লেখা সত্যি হলে এই লোককে নিয়ে পুরো দুনিয়া নাচানাচি করতো, মিস্টার আব্দুল আহাদের নোবেল কেউ ঠেকাতে পারতো না।
ঙ-তে দেখতে পাচ্ছি, এটা নাকি এমন একটা জার্নাল যেটা সবাই গ্রহণ করতে পারে এবং ৫০টি জার্নাল নাকি তার কাছে গবেষণা প্রবন্ধ চেয়েছে। এই জার্নালের কোনো মা-বাপ নাই, সেটা আগেও বলেছি। গুগল ইন্ডেক্সেও এদের ওয়েবসাইট নাই, কারণ আগেই বলেছি নাম পাল্টে ফেলা হয়েছে। আর ৫০টা জার্নাল ওর কাছে প্রবন্ধ চেয়েছে কি চায়নি, এটার সত্যতা কিভাবে যাচাই করা যায়?
আরো একটা মজার জিনিস দেখতে পেলাম। এই খবরের শিরোনামে দাবি করা হয়েছে, “ডারউইনের জীবাশ্ম থিওরীকে ভুল প্রমাণিত করলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক”। কিন্তু লেখার মধ্যে এক জায়গাতে আবার লেখা, জীবাশ্ম নাকি ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের চাক্ষুষ প্রমাণ বলে ডঃ আব্দুল আহাদ প্রমাণ করেছেন।
এবার আসুন, সেই প্রবন্ধ নিয়ে এবার আলোচনা করি।
২) প্রবন্ধের অসততা
এই প্রবন্ধটি প্রথমে জমা দেয়া হয়েছিলো আরেকটা জার্নালে, যেখানে কো-অথর হিসেবে নাম দেয়া হয়েছিলো বিখ্যাত একজন পতঙ্গবিদের। তিনি বিবর্তন তত্ত্বের সমর্থক হিসেবে সুপরিচিত। তার সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি বললেন, “আমার কোনো ধারণাই নেই, কেন এখানে আমার নাম যোগ করা হলো।” অর্থাৎ, এই আব্দুল আহাদ একজন ঘোরতর ধোঁকাবাজ। এই ধোঁকাবাজি নিয়ে রিট্র্যাকশন ওয়াচে ছাপা হয়েছিলো। যখন কোনো গবেষণা প্রবন্ধ টাকা (১০০ ডলার) নিয়ে প্রবন্ধ ছাপায়, এবং পরে ভুল বুঝতে পেরে সেটাকে সরিয়ে ফেলে, তারপরেও কিন্তু কয়লা ধুইলে কিন্তু ময়লা যায় না। এক্ষেত্রে সেই প্রবন্ধটাকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো। এখনো হল্লা হচ্ছে। এখন যেখানে ছাপা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই প্রবন্ধেও ভুলের কোনো সীমা নাই।
ভুল তথ্য
কী কী ভুল আছে এই প্রবন্ধে – সেই বিষয়ে যেতে গেলে আমার এই আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য বিজ্ঞানযাত্রার সকল প্রবন্ধের দৈর্ঘ্যকে হার মানাতে পারে। তথ্যগত ভুলের কোনো সীমা নেই এখানে। শুধু তিনটা তুলে ধরছি।
(১)
আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস, যাকে বিবর্তন তত্ত্বের সহ আবিষ্কারকের মর্যাদা দেয়া হয়, তিনি কখনোই বিবর্তন তত্ত্বকে অস্বীকার করেননি। কিন্তু এখানে তেমনই দাবি করা হয়েছে।
(২)
এখানে জীবাশ্মের অপ্রতুলতা নিয়ে যে কুযুক্তিগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। যেখানে ডারউইন বলেছেন, মধ্যবর্তী প্রজাতির কোনো জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি, সেখানে এই ভণ্ড লেখক বলেছেন, “ডারউইন নাকি বলেছেন, মধ্যবর্তী প্রাণী বলতে কিছু নেই।” ডারউইন এই তত্ত্ব দিয়েছেন অনেকদিন আগে। মধ্যবর্তী প্রজাতির অনেকগুলো জীবাশ্ম পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়েছে। বিবর্তন তত্ত্ব এখন আরো অনেক বেশি সুপ্রতিষ্ঠিত।
(৩)
পৃথিবীর বয়স বা জীবাশ্মের বয়স নাকি শুধুই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়। এই লেখক যাচ্ছেতাই মনগড়া কথা বলে গেছেন কোনো প্রমাণ ছাড়াই। লেডের অস্তিত্ব এবং ভাঙন থেকে যে পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে অথবা কার্বনের আইসোটোপ দিয়ে যে জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করা হয়, তা নিয়ে এই লোকের কোনো ধারণাই নেই। উনি কোন সময়কার কথা বলছেন, কে জানে! বিজ্ঞান এখন অনেক দূর এগিয়েছে।
ফন্ট ও ফন্ট সাইজের পার্থক্য
কোনো গবেষণা প্রবন্ধ দেখতে এরকম হয় না, যেমনটা এই প্রবন্ধের পিডিএফে দেখা যাচ্ছে। একেকবার একেক ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা কখনোই সম্ভব না। একেকবার একেক ফন্ট সাইজ ব্যবহার করা হয়েছে, এগুলো কিভাবে সম্ভব হলো কে জানে?
গবেষণা প্রবন্ধে অন্যান্য বিজ্ঞানীর ছবি?
গবেষণা প্রবন্ধ পড়েছি অনেক। কিন্তু এভাবে অন্যান্য বিজ্ঞানীর ছবি হাজির করা হয়, এমনটা কখনোই দেখিনি। প্রবন্ধের সম্পাদকেরা চায়, যত বেশি সম্ভব ছোটো করার জন্য। প্রত্যেক প্রবন্ধেই সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যার উল্লেখ থাকে, ছবি নিয়ে নির্দেশনা থাকে। বিজ্ঞানীর ছবি দেয়া সেখানে অসম্ভব। এই জিনিস কখনোই পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হতো না।
গবেষণা প্রবন্ধে কার্টুন?
গবেষণা প্রবন্ধে কার্টুন থাকে- এমন দেখিনি কখনো। কেন দেখিনি, সেটার একটা সুস্পষ্ট কারণ আছে। আর কারণটা হচ্ছে, এটা কোনোদিনই সম্ভব না।
রেফারেন্স
গবেষণা প্রবন্ধে রেফারেন্স হিসেবে উইকিপিডিয়াও ইউজ করা হয়েছে। দেখে হাসতে হাসতে মরে গেলাম।
৩) জার্নালের অসততা
DOI number
শুরুতেই বলেছিলাম, এই জার্নালের কোনো মা-বাপ নেই। কেন বলেছিলাম, এবার শুনুন। সকল জার্নালের একটা DOI নাম্বার থাকে। এটা দিয়ে বোঝায় Digital Object Identifier. এই জার্নালের কোনো DOI নেই।
লেখা জমা দেয়ার নির্দেশনা
তাদের জার্নালে প্রবন্ধ জমা দেয়ার জন্য কী কী লাগে, সেটা দেখার জন্য গিয়ে পুরোপুরি তাজ্জব হয়ে গেলাম।
বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে গিয়ে অন্তত এটুকু দেখেছি Author দের জন্য কত লম্বা নির্দেশনাবলী দেয়া হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরুপ Elsevier এর Energy Policy এর গাইডলাইন ঘুরে আসতে পারেন। পড়ে শেষ করতে গোটা একটা দিন পার হয়ে যাবে। আর এখানে? Conflict of Interest ছাড়া মাত্র ২৭ শব্দে পুরো নির্দেশনা শেষ? পুরো থ হয়ে গেলাম।
রেফারেন্স কিভাবে দিতে হবে, শুধু সেটা নিয়েই বিশাল নির্দেশনা দেয়া থাকে। কারণ, একেক জার্নাল রেফারেন্সের জন্য একেক স্টাইল ব্যবহার করে। আর এখানে শুধু বললো, “লাইনে আসুন, লাইন ধরে দিয়ে গেলেই হবে।” এই হচ্ছে জার্নালের দশা!
ভাষা
ভয়াবহ কাঁচা ইংরেজির এই সারাংশ পড়ে কোনোভাবেই বুঝতে পারলাম না, কোনো জায়গাতে এটা ছাপা হয় কিভাবে? পুরো প্রবন্ধে চোখ বুলিয়ে যা দেখলাম, এটা কোনো গবেষণা প্রবন্ধের ভাষা না।
ব্যাকরণের এমন অবস্থা কোনো জার্নালের হয় না। সকল জার্নালই ভাষা খুব গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা করে থাকে। ভাষা পরীক্ষা (language check) করার জন্য অনেক সংস্থাও আছে, যারা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে জার্নালের ভাষা ঠিক করে দেয়। এরকম ভাষা কখনোই কোনো সুস্থ জার্নাল প্রকাশ করার কথা না। এখানে ব্যাকরণের কী ভুল আছে, সেই ব্যাখ্যায় আর গেলাম না। খুব সহজেই ধরতে পারার কথা এ ধরনের স্থুল ত্রুটি। আর যদি সেই দলে হন, যারা ভুল ধরতে পারছে না, তাহলে আপনাদেরও বিশদ ব্যাকরণ জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। এটাকে প্রবন্ধের ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করতে পারতাম, কিন্তু আসলে এটা গোটা জার্নালের সম্পাদনার দুর্বলতা হিসেবেই বেশি চোখে পড়ছে; তাদের উদ্দেশ্যের অসততা হিসেবেই চোখে পড়ছে।
রিভিউ এর প্রশ্নবিদ্ধ যোগ্যতা
এটা নাকি Peer Reviewed জার্নাল, অর্থাৎ এখানে প্রকাশের আগে অন্যান্য গবেষকরা লেখাটাকে যাচাই করে থাকেন। বিজ্ঞান এতোদূর এগিয়েছে তার নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থার জন্য। পিয়ার রিভিউড জার্নালের সম্মান তাই সবার ওপরে। সেই পিয়ার রিভিউ প্রসেস যদি ঠুনকো হয়, তাহলে পুরো জার্নালের সততা এবং উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন জাগে। তাই, এদের রিভিউ প্রসেস নিয়ে দেখতে মন চাইলো। জানতে চাইলাম, কিভাবে এই গবেষণা(!) প্রবন্ধটা রিভিউ’এর কাঠগড়া পার করে এলো। গিয়ে যা দেখলাম, তাতে মোটামুটি চক্ষু চড়কগাছ! আপনি যদি অনার্স শেষ না করে থাকেন, তবুও ওরা আপনাকে রিভিউয়ার হিসেবে নেবে। অন্য কোনো নির্দেশনা নেই।
সমাপনী বক্তব্য
সব মিলিয়ে, পুরো জিনিসটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিচ্ছু না। কৌতুহলবশত তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখলাম- ভাঁড় ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না একে। কেন আমরা এত কষ্ট করে এই ধরনের একটা ভাঁড়কে মিথ্যা প্রমাণ করতে গেলাম? কারণ, বিবর্তনের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এই ধরনের একটা প্রবন্ধ দেখিয়ে অনেককে ভুল পথে পরিচালিত করা যায়। যেহেতু তাকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, এটার বিরুদ্ধে বাংলায় একটা পরিপূর্ণ লেখা থাকা উচিৎ। বিজ্ঞানের প্রতি সেই দায়িত্ববোধ থেকেই এই প্রবন্ধের সূত্রপাত। এখন আমাদের করণীয় কী?
১) সবখানে বিবর্তন তত্ত্বের সঠিক তথ্য সম্বলিত লেখাগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
২) বিবর্তন নিয়ে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লেখাগুলোকে যেখানেই দেখবেন, সেখানেই বিরোধিতা করতে হবে।
৩) বিবর্তন নিয়ে (এটার সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে) বাংলায় আরো বেশি লেখালেখি করতে হবে।
৪) সর্বোপরি, আমাদের সবাইকেই আরো বেশি পড়াশোনা করতে হবে, অনেক বেশি সচেতন হতে হবে যাতে এসব ছাইপাশ লিখে কেউ পার না পায়।
সবাইকে ধন্যবাদ।
এই ধরনের বাটপার প্রচুর ছড়িয়ে আছে আমাদের দেশে আমাদের মত স্বল্পশিক্ষিত মানুষকে বিভ্রান্ত করে এদের ব্যক্তিত্ত বাড়ানোই এদের মূল লাভ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের বাটপাররের পরিচয় প্রকাশ করার জন্য।
ধন্যবাদ। সবাইকে সাথে করেই বিজ্ঞানযাত্রা চলবে।
চাঁদে আজান শোনা গেছে কিংবা চাদেঁর ফাটল দেখে নভচারীরা সব মুসলমান হয়ে গেছে- এরকম অপবিজ্ঞান যেন প্রচার না হয় তাই এই লেখাটি একটি অসাধারণ প্রমাণপত্র হয়ে রইল। লেখটা শেয়ার করছি।
ধন্যবাদ। অন্যান্য গুজবগুলো একে একে ধরুন, সাইটে লেখা সাবমিট করতে পারেন।
অসাধারণ ভাবে সত্যতা তুলে ধরেছেন ।
গণেশের শুর প্লাস্টিক সার্জারির প্রথম নিদর্শন – এরকম অপবিজ্ঞান যেন প্রচার না হয় তাই এই লেখাটি একটি অসাধারণ প্রমাণপত্র হয়ে রইল।
বিজ্ঞানের সঠিক তত্ত্বকে যারা ভুল ভাল বলে প্রচার করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্তি করতে চাঁই তারা আসলে পথ ভ্রষ্ট।এইরকম মিথ্যুক প্রচারকের বিরুদ্ধে এই লেখাটা দাত ভাঙা জবাব হয়ে তাকবে।আশা করি লেখক এইরকম আরো অনেক বিষয় নিয়ে লেখবে যা ভুল আর মিথ্যায় ভর পুর।
খুব সুন্দর লাগলো❤️ এভাবেই এদের expose করুন