আমাদের মহাবিশ্ব ঠাসা বিভিন্ন রকম মহাজাগতিক বস্তু দিয়ে। কিছু আমাদের খুবই পরিচিত, আবার কিছু তেমন পরিচিত নয়। আসুন কিছু সুপরিচিত, অল্প-পরিচিত, আর (হয়তো) অপরিচিত ব্যাপার নিয়ে জানি।
প্রথম ধাপে আমরা গ্রহ+উপগ্রহ>নক্ষত্র>ছায়াপথ নিয়ে জানবো। দ্বিতীয় ধাপে কিছু বিশেষ নক্ষত্রের ব্যাপারে পড়বো। আর শেষ ধাপে কিছু টুকিটাকি টার্মের ব্যাপারে জানবো।
চলুন, তাহলে শুরু করা যাক!
১) Orbit (কক্ষপথ): কক্ষপথ হল মহাবিশ্বে কোন বস্তুর ভ্রমণের রাস্তা। লাতিন শব্দ “orbis” [বৃত্ত] হতে এই শব্দের উৎপত্তি। যদিও কিছু কক্ষপথ প্রায় গোলাকার, তবু বেশীরভাগ গ্রহের কক্ষপথই ডিম্বাকার (ওভাল শেইপড)।
২) Planet (গ্রহ): সূর্যের চারদিকে যেসকল বস্তু ঘুরে, তাদেরকে সাধারণভাবে গ্রহ বলে। এই নামটি এসেছে গ্রিক শব্দ “planetes” থেকে যার মানে “wanderers” বা উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ানো। আমাদের সৌর জগতে মোট আটটি গ্রহ আছে। যথাঃ বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, এবং নেপচুন। ১৯৯৪ সালে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের সৌরজগতের বাইরেও গ্রহ বর্তমান। এখনো পর্যন্ত অন্যান্য সৌরজগতে ঘূর্ণনরত মোট ৭১৫টি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে।
৩) Satellite (উপগ্রহ): গ্রহকে ঘিরে যেসব বস্তু নিজস্ব কক্ষপথে ভ্রমণ করে, তাদেরকে উপগ্রহ বলে। যেমন, চাঁদ হল পৃথিবীর উপগ্রহ।
যেহেতু পৃথিবীর উপগ্রহের নাম দেওয়া হয়েছিলো চাঁদ (moon), তাই যখন গ্যালিলিও গ্যালিলি বৃহস্পতি গ্রহের চারটা চাঁদ আবিষ্কার করলেন, বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলার তাঁকে চিঠি লিখে বললেন, যেন তিনি সেগুলোকে moon না ডেকে “স্যাটেলাইট” ডাকেন। এই শব্দটি এসেছে লাতিন “satelles” থেকে যার অর্থ অনুচর।
৪) Asteroid (গ্রহাণু): নাম শুনেই বোঝা যায় এরা গ্রহ+অণু=ক্ষুদ্র গ্রহ। সূর্যকে ঘিরে এরা ঘুরপাক খাচ্ছে এবং এদের বৈশিষ্ট্য গ্রহের মতোই। এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশী গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয়েছে। বেশীরভাগই অবস্থিত মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝামাঝি জায়গায়। এরা সাধারণত অনিয়মিত গঠনের হয়ে থাকে। আবিষ্কৃত গ্রহাণুর ব্যাস ৯৪০ কিলোমিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
৫) Star (নক্ষত্র): উচ্চ ঘনত্বের উত্তপ্ত গ্যাস দ্বারা গঠিত মহাজাগতিক বস্তু হলো নক্ষত্র। নিজেদের অভ্যন্তরে চলা পারমাণবিক বিক্রিয়া থেকে এরা শক্তি সংগ্রহ করে। আমাদের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত নক্ষত্রটি হল সূর্য। নক্ষত্রের আকার বিশাআআআ……ল হতে পারে। সে তুলনায় ৮৬৫,৪০০ মাইল ব্যাসযুক্ত সূর্য একটি ছোট নক্ষত্র।
নক্ষত্রের জন্মঃ
আমাদের ছায়াপথ Milky way বা আকাশগঙ্গায় নতুন একটি নক্ষত্রগুচ্ছ (star cluster) পাওয়া গেছে। ছায়াপথ আর আকাশগঙ্গা নিয়ে আরো জানতে পারবেন যথাক্রমে ১১ ও ১২ নম্বর পয়েন্টে।
ছবিতে যে লাল নীহারিকা দেখা যাচ্ছে, তার কেন্দ্রে এই নক্ষত্রগুচ্ছ অবস্থিত। গুচ্ছে লাল, সবুজ এবং নীল রঙের নক্ষত্র রয়েছে। লাল ছোপগুলো দিয়ে ধূলোর মধ্যে জৈব অণু বোঝানো হয়েছে, যা আশেপাশে নক্ষত্র গঠন হবার সময় ছড়ানো আলো দিয়ে আলোকিত হয়েছে। সবুজ রঙ নির্দেশ করে উত্তপ্ত হাইড্রোজেন গ্যাসকে। নীল রঙ দ্বারা বোঝায় প্রাচীন নক্ষত্রকে। নীহারিকার ভেতর বামপাশে নীচে যে উজ্জ্বল সাদা রঙের আলো দেখা যাচ্ছে, সেখানে বিশাল এবং উচ্চ ঘনত্বের একটি নক্ষত্র জন্ম নিচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে যত বেশী নক্ষত্র জন্ম নেবে, নীহারিকা তত অদৃশ্য হয়ে যাবে।
৬) The Sun (সূর্য): সূর্য আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র। প্রতি সেকেন্ডে এটি ৪৯০ লক্ষ টন পদার্থকে বিশুদ্ধ শক্তিতে পরিণত করে চলছে। এই শক্তি আমাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে আলো হিসেবে।
সূর্য পৃথিবীর চেয়ে ১০৯ গুণ বড় এবং ৩ লক্ষ গুণ ভারী।
৭) Sunspot (সৌর কলঙ্ক): সূর্যে উপস্থিত গাঢ় রঙের দাগকে সৌর কলঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়। অনুমান করা হয়, এই অংশগুলো সূর্যের বাকী অংশ থেকে ঠাণ্ডা। এদেরকে ১১ বছরে একবার দেখা যায়।
৮) Solar System (সৌর জগত): আমাদের সৌরজগত গঠিত হয়েছে সূর্যকে কেন্দ্রে রেখে। solar মানেই সূর্য। সূর্যকে ঘিরে যার যার কক্ষপথে পাক খাচ্ছে আটটি গ্রহ, বিভিন্ন উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু এবং উল্কাপিণ্ড। এরা সবাই সূর্যের মহাকর্ষ বল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
৯) Orion (কালপুরুষ): এটি আকাশের সবচেয়ে পরিচিত নক্ষত্র মন্ডল। অসংখ্য নক্ষত্র দ্বারা গঠিত এই মণ্ডলের সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্র একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে অবস্থিত। এই প্যাটার্নটি দেখতে শিকারীর ভঙ্গীর মতো। তাই এর নাম হয়েছে ওরিয়ন [গ্রীক পুরাণের একজন শিকারী] বা কালপুরুষ [যমের অনুচর]। রাতের আকাশে খালি চোখেই দেখা যায় এই কালপুরুষ।
১০) Ursa Major (সপ্তর্ষি মণ্ডল): এটি আরেকটি পরিচিত নক্ষত্রপুঞ্জ। এতে উপস্থিত অসংখ্য নক্ষত্রের মাঝে সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্র খালি চোখে দেখা যায়। এই নক্ষত্রগুলোর নাম ভারতীয় সাতজন ঋষির নামে রাখা হয়েছে [সপ্ত+ঋষি=সপ্তর্ষি]। আর সেই নাম দিয়েই আমরা গোটা পুঞ্জকে চিনি।
১১) Galaxy (ছায়াপথ): বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হুলুস্থুল ধরণের বিশাল সিস্টেমকে ছায়াপথ বলে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন ছায়াপথ আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে প্রায় ১০,০০০ ছায়াপথ দেখতে পেয়েছি। ছায়াপথের গঠন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন – সর্পিল, ডিম্বাকার, অর্ধবৃত্তাকার এবং অনিয়মিত (যাদের কোনো নির্দিষ্ট গঠন নেই)। তবে সর্পিলাকার ছায়াপথের সংখ্যাই বেশি।
১২) The Milky Way (আকাশগঙ্গা): মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা হলো আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ। আকাশের দিকে তাকালে আপনি যা কিছু দেখেন, সবকিছুই এই ছায়াপথের অন্তর্গত। ধারণা করা হয়, আকাশগঙ্গায় প্রায় আনুমানিক দশ হাজার কোটি নক্ষত্র বিদ্যমান। এটি একটি সর্পিলাকার ছায়াপথ যার ব্যাস প্রায় এক লক্ষ আলোকবর্ষ এবং ঘনত্ব প্রায় দশ হাজার আলোকবর্ষ।
১৩) Supernova (সুপারনোভা): সুপারনোভা হল অতি বিশাল বিস্ফোরণমুখী নক্ষত্র। যে মুহূর্তে কোনো নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে, ঠিক তার আগে সেটি প্রকাণ্ড পরিমাণে শক্তি নির্গত করে। ফলে সেটি স্বাভাবিক অবস্থার চাইতে লক্ষ লক্ষ গুণ উজ্জ্বল হয়ে উঠে। এ অবস্থাকেই সুপারনোভা বলে। তার পরপরই এটি চিমসে যায় (সংকুচিত হয়)।
১৪) Neutron Star (নিউট্রন তারকা): সুপারনোভা বিস্ফোরিত এবং সঙ্কুচিত হয়ে সৃষ্টি করে নিউট্রন তারকা।
কীভাবে?
নক্ষত্র সঙ্কুচিত হবার ফলে অত্যাধিক ঘনমাত্রার বস্তুতে পরিণত হয়। এর ঘনত্ব এতো বেশী হয় যে মহাকর্ষ বল নক্ষত্রটিতে উপস্থিত সমস্ত পদার্থকে ভিতরের দিকে টেনে আনে। ফলে সেটি ঠাসাঠাসি হয়ে এতোই ছোট আকারের হয়ে যায় যে সেটা দিয়ে একটা বোতলের মুখও ভরা যাবে না। এরকম ঘনত্বের ফলে নক্ষত্রের পরমাণুর গাঠনিক উপাদান – ইলেকট্রন এবং প্রোটন ভেঙ্গে নিউট্রনে পরিণত হয়। নক্ষত্রের এ অবস্থাকেই বলে নিউট্রন তারকা।
২০০৪ এর ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে একটা নিউট্রন তারকা এতো উজ্জ্বলভাবে জ্বলে উঠেছিলে যে কিছুক্ষণের জন্য মহাকাশের সকল এক্স-রে স্যাটেলাইট অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকটাও আলোকিত হয়ে উঠেছিলো। নিউট্রন তারকার ঘূর্ণনরত চৌম্বকক্ষেত্রের মাধ্যমে তৈরি একটা দানবীয় শিখা থেকে এই ব্যাপক মাত্রার শক্তি জন্ম নিয়েছিলো। এ ধরনের বস্তুকে বলে magnetars, আর এরা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের চেয়ে ট্রিলিয়ন গুণ বেশি শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।
১৫) Pulsar (পালসার): দ্রুত ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারকাকে পালসার হিসেবে ধরা হয়। এই নামটি মূলত Pulsating star এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরা নিয়মিত ব্যবধানে বিস্ফোরণের মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ উদ্গীরণ করে থাকে।
১৬) Quasar (কোয়েইজার): ধারণা করা হয়, কোয়েইজার হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে দূরবর্তী বস্তু। এটি মূলত quasi-stellar radio source নামের সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ “আংশিক মাত্রায় নাক্ষত্রিক” বেতার তরঙ্গ উৎপন্নকারী বস্তু। ছোট আকারের তুলনায় এরা অতি প্রকাণ্ড মাত্রায় আলো এবং অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ উৎপন্ন করে। এদের আকার আমাদের সৌরজগতের চেয়ে খুব একটা বেশী নয়। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা দশ হাজার কোটি নক্ষত্রসমৃদ্ধ ছায়াপথের চেয়েও একশো থেকে হাজারগুণ বেশী আলো উৎপন্ন করে!
১৭) White Dwarf (সাদা বামন): যখন একটি নক্ষত্রের শক্তি নিঃশেষ হয়ে সেটি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন তৈরি হয় সাদা বামন। নক্ষত্রের কেন্দ্রের মহাকর্ষ বল নক্ষত্রের ভরকে ভেতরের দিকে টানতে থাকে। ফলে এর পতন ঘটে। এ অবস্থার তুলনা করা যায় আগুন নিভে যাওয়া জ্বলন্ত কয়লার সাথে। এর নাম সাদা বামন কারণ এটি সাদা রঙের শিখা বিকিরণ করে।
প্রজাপতির মতো সাদা বামনও তার জীবন শুরু করে কোকুনের (আবরণ) ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে। এই কোকুন তার পূর্বরূপকে ঘিরে রেখেছিলো।
১৮) Brown Dwarf (বাদামী বামন): এরাও ব্যর্থ নক্ষত্র। কারণ প্রকৃত নক্ষত্র হওয়ার জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন, সেটি এদের নেই। আবার গ্রহ হওয়ার জন্যও এদের ভর এবং তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশী।
ছবির বামে সূর্য, ডানে বৃহস্পতি এবং মাঝখানে TWA 5B নামক বাদামী বামন অবস্থিত। যদিও বাদামী বামনরা আকারে বৃহস্পতির মতোই, কিন্তু এদের ঘনত্ব বেশী এবং এরা নিজস্ব আলো তৈরি করে। কিন্তু বৃহস্পতি গ্রহ সূর্যের আলো প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোকিত হয়। TWA 5B এর ঘনত্ব বৃহস্পতি থেকে ১৫-৪০ গুণ বেশী। কিন্তু তারপরও এটি সবচেয়ে কম ঘনত্বের বাদামী বামনদের মধ্যে পড়ে!
১৯) Black Hole (কৃষ্ণ গহ্বর): কোনো বিশাল নক্ষত্রের বা নক্ষত্রপুঞ্জের মাধ্যাকর্ষিক পতনের (gravitational collapse) ফলে কৃষ্ণ গহ্বর সৃষ্টি হয়। কিছু নক্ষত্রের জন্য এটিই চূড়ান্ত পরিণতি। এক্ষেত্রে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নক্ষত্রটি বাইরের দিকে বিস্ফোরিত হওয়ার পরিবর্তে ভিতরের দিকে বিস্ফোরিত হয়। ফলে এর ঘনত্ব এতোই বেড়ে যায় যে আলো পর্যন্ত গহ্বরের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না।
২০) Nebula (নীহারিকা): ধূলা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং অন্যান্য আয়োনিত গ্যাস দিয়ে তৈরি দানবাকৃতির দ্যুতিময় মেঘ। বহুবচনে একে Nebulae বলে। আশেপাশে অবস্থিত উজ্জ্বল নক্ষত্রের কারণে এরা আলোকিত হয়। এ পর্যন্ত তিনশোরও বেশী নীহারিকার নামকরণ করা হয়েছে।
২১) Comet (ধূমকেতু): ধূমকেতু গঠিত হয় জমাট বেঁধে বরফ হওয়া ধূলা আর গ্যাস দিয়ে। সূর্যের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটি উত্তপ্ত হয়ে গ্যাস মুক্ত করে এবং অস্পষ্ট অবয়ব তৈরি করে। মাঝে মাঝে এই অবয়ব লেজের আকার ধারণ করে।
২২) Meteor (উল্কা): উল্কা হলো ধূমকেতু, গ্রহ, চাঁদ অথবা গ্রহাণুর খণ্ডিত অংশ। ধারণা করা হয়, প্রতিদিন কোটি কোটি উল্কা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। কিন্তু ভূপৃষ্ঠে পৌঁছার আগেই সেগুলো বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষে ধ্বংস হয়ে যায়। যেগুলো সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস হয় না এবং ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়, সেগুলো উল্কাপিণ্ড নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্রঃ
১। http://www.factmonster.com/ipka/A0774869.html,
২। উইকিপিডিয়া
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ নাসা। শুধুমাত্র ধুমকেতুর ছবিটির উৎস Soerfm.
Where were we?
বিশাল আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সির কোন জায়গাটায় সূর্য অবস্থিত, সেটা তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে। আর সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ঘুরছে। তাহলে একটু কল্পনা করে নিন, আপনি কোথায় আছেন!
আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের এই আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সির তুলনায় আমরা একটা ভাইরাস মতো ক্ষুদ্র, এখানে একটা কথা ভুল বলেছেন সেটা হল সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ঘুরছে, আসলে সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী বা কোন গ্রহ ঘুরছে না, সূর্য আর পৃথিবীর কমন ভরকেন্দ্র (Center of Mass) কে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ঘুরছে। ধন্যবাদ
Thank you…….
ভাই পরেছি সূর্য পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুন বড়। কিন্তু আপনি বললেন ১০৩ গুন বড়। কোনটা সত্য?
সূর্যের ব্যাস (diameter) পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে ১০৯ গুণ বড়। আর ১৩ লক্ষটা পৃথিবী সূর্যের ভেতরে এঁটে যেতে পারবে।
Thank for many important information. ❤❤❤❤❤❤❤❤♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️