Cosmos 2020 Synopsis : Episode 2 – গ্রহান্তরী মানুষেরা

COVID-19 এর আক্রমনে আমরা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি । নিজের বাসা ছেড়ে বাইরে বেরুতে পারছিনা। করোনার ভয় কেটে গেলে আমরা হয়তো আবার বের হব । পাশের শহর, পাশের দেশ কিংবা টাকা বেশি থাকলে, পাশের মহাদেশ বেড়াতে যাব। তারপর, তারপর কি করব ? কতদূরে আর যাব ? মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, আর আমাদের দৌড় কতদূর পর্যন্ত? ৫১০ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের এই গ্রহের মধ্যেই তো ঘুরতে থাকব ! এখান থেকে বেরুতে তো পারব না ।

আল্টিমেটলি, আমরা আসলে পৃথিবী নামক গ্রহের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে আছি। এভাবে কখনো চিন্তা করে দেখেছেন?

করোনায় যদি পৃথিবীর সবাই মারা যায়, তাইলে হোমো স্যাপিয়েন্স প্রজাতির এখানেই সমাপ্তি হয়ে যাবে, যাকে বলে খতমে তারাবি! কিন্তু মানুষ যদি চাদ, মংগল বা অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহেও ঘরবাড়ি বানাত এতদিনে, তাইলে পৃথিবীর সব হোম স্যাপিয়েন্স মরে গেলেও অন্য গ্রহের হোমো স্যাপিয়েন্সরা বেঁচে থাকত। আমরা বিলুপ্ত হয়ে যেতাম না।

ধরুন, করোনার ফলে পৃথিবীর মোট ৮ লাখ মানুষ মারা গেল । তারপরে এর প্রকোপ থামল। পৃথিবীর এখন জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ কোটি। সেক্ষেত্রে ,মাত্র ০.০১% মানুষ মারা যাবে করোনায়। এটা কিন্তু মানব জাতির জন্য খুব বড় ভয়ংকর কোনো দুর্যোগ না।

শুনে অবাক হচ্ছেন? কয়েকটা ঘটনা বলি?

২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর সাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে একটা বড় জলোচ্ছাস তৈরি হয়েছিল। একে বলে সুনামি (Tsunami)। ওইদিন সুনামি আছড়ে পড়েছিল সাগর পাড়ের সব জনপদেই। ইন্দোনেশিয়া,ইন্ডিয়া,আফ্রিকার উপকূলে একদিনে একসাথেই তখন মারা গিয়েছিলেন ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষ। (তৎকালীন পৃথিবীর মোট ৬০০ কোটি জনসংখ্যার ০.০০৪ %)

মধ্যযুগে ইউরোপের ৩৩% মানুষ মারা গিয়েছিল প্লেগে । পুরা পৃথিবীর জনসংখ্যা তখন ছিল ৪৭ কোটি , প্লেগের পরে জনসংখ্যা ছিল ৩৭ কোটি। অর্থাৎ পুরা পৃথিবীর প্রায় ২০% মানুষ মারা গিয়েছিল তখন।

এইগুলাও খুব বড় সড় বিপর্যয় না। এই পৃথিবী এমন ভয়ংকর কিছু বিপর্যয় দেখেছে , যখন পুরা জীব জগতই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

একটা গল্প বলি। ৬৫ মিলিয়ন বছর আগের গল্প ।

রাতের আকাশে আমরা মাঝে মাঝেই উল্কা পড়তে দেখি । গ্রামের ভাষায় একে বলে তারা খসা, বিজ্ঞানের ভাষায় বলে meteorite fall .

এই উল্কা গুলা হল ছোট ছোট গ্রহানু । একেক টা একেক সাইজের । কয়েক ইঞ্চিও হতে পারে, কয়েক মেইল ও হতে পারে। মহাকাশে যেমন খুশি তেমন ঘুরে বেরায়। মাঝে মাঝে পৃথিবীর আকর্ষনে আমাদের বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়লে আগুন ধরে যায় । মাটিতে পড়ার আগেই উল্কাগুলার ছাই ছাড়া আর কিছু বাকি থাকেনা।

( কবে কখন সূর্য উঠবে, চাঁদ উঠবে, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ হবে সেটা নিখুঁতভাবে পাওয়া যায় অনেক দিন ধরেই। আকাশে কবে বেশি উল্কা পড়বে সেটাও এখন আগে থেকে বলে দেয়া যায়। অনেক বেশি উল্কাপাত হলে তাকে বলে মিটিওর শাওয়ার।)

যে উল্কাগুলার সাইজ একটু বড়, সেগুলা মাটিতে পৌছালে ছাই ছাড়াও আরো কিছু জিনিসপত্র অবশিষ্ট থাকে। সেই উল্কার পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে অনেকে পূজা করে, অনেকে অনেক ধরনের গুজব তৈরি করে।

৬৫ মিলিয়ন বছর আগে বিশাল সাইজের একটা উল্কা পড়েছিল গালফ অফ মেক্সিকোতে। উল্কাটার ব্যাসার্ধ ছিল কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার। বিপুল বেগে এটা যখন পানিতে আছড়ে পড়ল, তখন বিপুল পরিমান মাটি, কাদা, ধূলা উড়ে গিয়ে বাতাসে ঘুরতে থাকল। পুরা পৃথিবীর আকাশই এইরকম ধূলাময় হয়ে গেল।এত বেশি ধূলা কাদা ছিল ,যে সূর্যের আলো মাটি পর্যন্ত আসতে পারল না ।

এই সিচুয়েশন চলল একদিন-দুইদিন নয়, কমপক্ষে দুইশ বছর । দুইশো বছরে সূর্যের আলো না পেয়ে সব গাছপালা মরে গেল (কারন, গাছ সালোক সংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় বেচে থাকে। এবং এই সালোকসংশ্লেষনের জন্য সূর্যের আলো দরকার)। যারা যারা ঘাস,সবজি এবং অন্য গাছ খায়, সেই সব তৃণভোজী প্রানী মারা গেল। যেসব মাংশাসী প্রাণী এই তৃণভোজী প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকত, তারাও মারা গেল। ডাইনোসরের সব প্রজাতিই এই সময়ে মারা গিয়েছিল । ২০০ বছর পরে ধূলাবালি মাটিতে ঝরে পড়লে, সূর্যের আলো আবার ঢোকার সুযোগ পেলে নতুন করে পৃথিবীতে জীব জগতের সূচনা হল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৪ অথবা ৫ বার এইরকম বড় বড় বিপর্যয়ে পড়েছে পৃথিবী। প্রতিবার আমাদের জীব জগত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরে আবার নতুন করে এখানে প্রাণের বিকাশ ঘটল।

নতুন করে যদি আবার এইরকম কোনো উল্কা বা ধূমকেতু এসে আমাদের পৃথিবীকে ধাক্কা দেয়? কী হবে আমাদের ? এই ২৯শে এপ্রিল তারিখে 1998-OR2 নামের একটা গ্রহানু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গেল । ফেসবুক একবার মৃদু গুজব উঠেছিল, যে ১৯৯৮- ও আর টু পৃথিবীকে ধাক্কা দেবে, আমরা সবাই মরে যাব, পরে সেই গুজব আর বেশি বেইল পায়নি। পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই এটা চলে গেল শেষ পর্যন্ত।

এইরকম গ্রহাণু বা ধূমকেতু তো মাঝে মাঝেই আসবে। এদের মধ্যে কোনটা পৃথিবীকে আঘাত করতেও পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সারভাইভ করার কোনো প্লান আছে?

আমরা পৃথিবীতে এখন বেঁচে আছি কিভাবে? খুব সিম্পলি বলতে গেলে, সূর্যের কারনে বেচে আছি। সূর্যের আলো+তাপের কারনে গাছপালা জন্মাচ্ছে, আমরা সেগুলা খাচ্ছি, অন্যান্য সব জানোয়ার ও সেগুলা খেয়ে বেচে আছে ।

সূর্য যদি তাপ ছড়ানো বন্ধ করে দেয়, কী হবে আমাদের?

সূর্যের মধ্যে আছে হাইড্রোজেন, আর হিলিয়াম। হাইড্রোজেন কে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হিলিয়াম বানাচ্ছে। এই পোড়ানোর ফলে তাপ আর আলো তৈরি হচ্ছে। সেই আলো খেয়ে আমরা বেঁচে আছি ।

সূর্যের সব হাইড্রোজেন যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন কী হবে?

হিসাব করে দেখা গেছে , সূর্যের ম্যাক্সিমাম জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে ৫ বিলিয়ন বছর পরে।

রাইট নাউ, সূর্যের মধ্যে কাজ করতেছে দুইটা বল- মহাকর্ষ বল আর নিউক্লিয়ার বল । মহাকর্ষ বল সূর্যকণাগুলাকে আকর্ষণ করে একজায়গায় আটকে ধরে রাখতে চায়, আর নিউক্লিয়ার বল এর কণাগুলাকে একে অপরকে বিকর্ষণ করে পরস্পর থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। এই মুহুর্তে এই দুইটা বলই ব্যালান্সে আছে। কিন্তু যখন সূর্যের জ্বালানী কমে যাবে, তখন এদের মধ্যে গ্যাঞ্জাম লাগবে।

৫ বিলিয়ন বছর পরে, যখন হাইড্রোজেন কমে যাবে, তখন সূর্য সাইজে অনেক বড় হয়ে যাবে। টেম্পারেচার বেড়ে যাবে। এটাকে তখন বলা হবে রেড জায়ান্ট স্টার। সাইজে এটা এতই বড় হবে , যে বুধ, শুক্র এবং পৃথিবীর কক্ষপথ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাবে। তার মানে এই ৩ টা গ্রহ সূর্যের পেটের মধ্যে ঢুকে যাবে। বুধ,শুক্রে এমনেও প্রাণ নেই,কিন্তু পৃথিবীর সকল জ্যান্ত উদ্ভিদ আর প্রাণী আগুনের তাপে বারবিকিউ হয়ে যাবে সেই সময়।

তখন আবার নতুন আরেক ঘটনা ঘটবে। শনি বা নেপচুন গ্রহের, এবং এদের উপগ্রহের বরফ গলে যাবে । ওই জায়গাগুলা আবার বসবাসের জন্য উপযোগী হতে পারে। মোটামুটি অনেক রকম ঘটনাই ঘটতে পারে।

ধরি, মানুষ তখন কলোনি বানাল শনির উপগ্রহ টাইটানে, অথবা নেপচুনের উপগ্রহ ট্রাইটনে । কিন্তু বেশিদিন সেখানে সুখে থাকতে পারবেনা। কারন সূর্যের অবশিষ্ট জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সে খুব অনুজ্জ্বল হোয়াইট ডোয়ার্ফ নক্ষত্রে পরিনত হবে। সেই আলো দিয়ে আমাদের টাইটানে বসবাসকারী আন্ডাবাচ্চা- নাতিপুতিরা বাইচ্চা থাকতে পারবেনা।

আমাদের তাইলে আরো লং টার্ম সলুশন দরকার। সূর্য মরে যাওয়ার পরে, হোমো স্যাপিয়েন্স যদি টিকে থাকে ততদিনে, তাকে বাসা খুজতে হবে সৌরজগতের বাইরে। অন্য কোনো জ্বলন্ত তারকার পাশের গ্রহে , যেখানে তখনো আগুন জ্বলছে।

সূর্যের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেঞ্চুরি। সেই নক্ষত্রের পাশে কয়েকটা গ্রহ ও আছে, মানুষের বসবাসের জন্য মোটামুটি সুইটেবল। কিন্তু সেটা প্রায় ২ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার ( ৪ আলোক বর্ষ ) দূরে অবস্থিত। যদি আলোর দূরত্বে যাইতে পারি ,তাইলে মাত্র ৪ বছর লাগবে । কিন্তু আমাদের রকেটের এখনো অত স্পিড নাই।

তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত আমাদের টেকনোলজি উন্নত হচ্ছে । ১৯৭০ সালে যে ভয়েজার রকেট ছাড়া হয়েছিল, সেই রকেটের স্পিড ছিল ঘন্টায় ৩৮ হাজার কিলোমিটার। আর নাসা যে লেটেস্ট রকেট টা পাঠিয়েছে ২০২০ সালের ২৯শে জানুয়ারি (রকেটের নাম -পার্কার সোলার প্রোব) , সেই রকেটের স্পিড ছিল ঘন্টায় ৩৯৩ হাজার কিলোমিটার। ভয়েজারের তুলনায় ১০ গুন বেশি স্পিড ।

এই পার্কার সোলার প্রোবে করে যদি আলফা সেঞ্চুরির দিকে রওনা দেই, তাহলে ৭ হাজার বছর লাগবে। আজ ২০২০ সালে রওনা দিলে ৯০২০ সালে গিয়ে পৌছাব । জোরে বলেন , সুবহানাল্লাহ 🙂

কসমসের এই এপিসোডে নিল ডি’গ্রিজ টাইসন এমন একটা টেকনোলজি দেখিয়েছেন, যার মাধ্যমে ২০ বছরে আলফা সেঞ্চুরিতে পৌছান সম্ভব। সেই টেকনোলজি তৈরি করতে কত দিন লাগবে, সেটা সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করেননি, তবে সাহসের সাথে প্রেডিক্ট করেছেন যে আজকের দিনের তরুণ তার জীবদ্দশায় পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহ -উপগ্রহ বা এ্যাস্টরয়েডে মানুষের কলোনি দেখে যেতে পারবেন

আচ্ছা, আমাদের পূর্বপুরুষরা কি তাদের চেনাজানা বাড়ি ছেড়ে অজানা জায়গায় কখনো পাড়ি দিয়েছে?

হোমো স্যাপিয়েন্স এর প্রথম আলামত পাওয়া যায় আফ্রিকায় । সেখান থেকে তারা পায়ে হেটে হেটে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে , মিডল ইস্টে, এশিয়া, সাইবেরিয়াতে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠে সুমের ,মিশর, সিন্ধু,ভাইকিংস,নর্ডিক,ইত্যাদি সভ্যতা । শীতকালে উত্তর মেরুর পানি জমে বরফ হয়ে গেলে সাইবেরিয়া থেকে আমাদের পুর্বপুরুষরা হেটে হেটে চলে যান আলাস্কা তে। সেখান থেকে কানাডা,তারপর আমেরিকা, তারপর মেক্সিকো হয়ে পুরা আমেরিকা মহাদেশই। সেখানে গড়ে ওঠে ইনকা,এ্যাজটেক,মায়া সভ্যতা ।

এই সব গুলা জায়গাতেই মানুষ গিয়েছিল পায়ে হেটে। এক জায়গা থেকে পায়ে হেটে কয়েক কিলোমিটার দূরে যাওয়া হয়তো খুব বেশি বিপজ্জনক কিছু না। একেবারে অজানা কোনো কিছুনা। কিন্তু খৃষ্টপূর্ব ১৭০০ সালে এমন এক জাতিকে পাওয়া যায়, যারা সম্পূর্ণ অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল সাগরে, নৌকায় করে।

এই জাতিকে আমরা লাপিতা (lapita) নামে চিনি এখন। চীন এর দক্ষিণ এলাকা থেকে এরা দক্ষিণ দিকের সাগরে যাত্রা শুরু করেছিল। দুইটা করে নৌকা জোড়া লাগিয়ে তারা স্পেশাল ক্যানু বানাত। সেই ক্যানুতে করে একদিন কি মনে করে যেন যাত্রা করেছিল তাদের একটি দল।

কেন তারা এই কাজ করেছিল, সেটা জানা যায়নি। আগের জায়গায় কি তাদের খাবার কমে গেছিল ? অন্য গ্রুপ এসে ওদের তাড়িয়ে দিয়েছিল? ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল? বন্য জন্তু এসে তাদের সবাইকে খেয়ে ফেলতেছিল? নাকি খুশিতে , ঠ্যালায়, ঘোরতে তারা এই কাজ করেছিল 🙂 ? উই হ্যাভ নো  আইডিয়া নাউ।

যেটাই ঘটুক না কেন, দীর্ঘদিন সাগরে ভেসে ভেসে তারা একদিন এসে পৌছাল ফিলিপাইনে। মানুষের ইতিহাসে প্রথম নৌকায় করে নতুন দেশে আগমন।

ফিলিপাইনে কয়েকশো বছর থাকার পরে তাদের আরেক গ্রুপ আবার জোড়া ক্যানুতে করে সাগরে বেরিয়ে পরল। বসতি স্থাপন করল ইন্দোনেশিয়ায়। এভাবে একে একে মালয়েশিয়া, পলিনেশিয়া, ফিজি, ভানুয়াতু,নাউরু, পিটকেয়ার্ন্স আইল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, ইস্টার আইল্যান্ড সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় সব এলাকাকেই তারা মানুষের জনবসতিতে পরিনত করেছিল।

তাদের দেখানো পথেই পরবর্তীতে বিভিন্ন জাতি বড় বড় জাহাজ বানিয়ে সাগর জয় করা শুরু করল। ইউরোপীয়ানরা একের পর এক নতুন করে আবিষ্কার করল আমেরিকা (১৪৯২ সালে), ইন্ডিয়া (১৪৯৮ সালে), অস্ট্রেলিয়া (১৬০০ সাল) সহ বিশ্বের চিপায়া চিপায় অদেখা সব জায়গা।

এখন গুগল ম্যাপ ব্রাউজ করেই আমরা দেখে ফেলতে পারি কোথায় কি আছে, কিন্তু কয়েকশো বছর আগেও বিষয়টা তেমন ছিল না। পুরা পৃথিবীর ম্যাপই কেউ আকায়নি তখন। লাপিতারাই প্রথম সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন ভাবে নতুন জায়গায় বসতি বানানোর জন্য পাড়ি দিয়েছিল প্যাসিফিক ওশান। ঠিক একই স্টাইলে ভবিষ্যতের মানুষও হয়তো পাড়ি দিতে কসমিক ওশান, নতুন সুন্দর একটা বাসযোগ্য বসতির খোজে।

Comments

আপনার আরো পছন্দ হতে পারে...

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
জানান আমাকে যখন আসবে -
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x