১৯৮০ এর দিকে একটা ব্রিটিশ কমেডি টিভি সিরিজ ছিলো, Mind Your Language. ওখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকজন ইংরেজি শিখতো। একদিন ক্লাসরুমে টেলিভিশন এর ভালো-খারাপ দিকগুলো নিয়ে কথা হচ্ছিলো। একজন বললো, টেলিভিশন চোখের জন্য খুব খারাপ। তখন স্প্যানিশ ভদ্রলোক হৈ হৈ করে বলে উঠলেন, পায়ের জন্যও খুব খারাপ, টেলিভিশনের জন্য নাকি ওর ভাইয়ের পা খারাপ হয়ে গেছে। কীভাবে জিজ্ঞেস করাতে সে বললো, ” টেলিভিশনটা সে তার পায়ের ওপর ফেলে দিয়েছিলো।”
হ্যাঁ, একটা উপায়ে আঙ্গুল ফুটানো আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেটা হচ্ছে কেউ যদি বিরক্ত হয়ে দু’ঘা বসিয়ে দেয়! হা হা হা……
আঙ্গুল ফুটালে, বসা থেকে উঠতে গেলে হাঁটুতে যে শব্দ হয়, সেগুলো হচ্ছে ওখান থেকে গ্যাসের বুদবুদ বেরিয়ে যাওয়ার শব্দ। চুইংগাম ফুলিয়ে ফুটানোর সময় যেমন হয়, তেমন আর কী! ঐ বুদবুদ বেরিয়ে গেলে কী সমস্যা? বেশ, কিছুই না! কিছুক্ষণ (প্রায় ২০ মিনিট) পরে ওখানে আবার বুদবুদ জমে।
Donald L. Unger নামে এক গবেষক এই ধারণা প্রমাণের জন্য ৬০ বছর ধরে এক হাতের আঙ্গুল বেশ নিয়মিত ভাবেই ফুটিয়ে গেছেন। আর অন্য হাতের আঙ্গুল থেকে কোনো ঠুসঠাস শব্দ বের করেননি। ৬০ বছর পরেও ওনার দুই হাতের মধ্যে আর্থরাইটিস-জনিত কোনো পার্থক্য পাননি।
আরো জানতে হলে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন –
Enjoy!
এই সাথে আঙুল কিভাবে কি জন্য ফোটে সেটাও জানা দরকার?
একটা বদ অভ্যাসে পরিনত হয়েছে আঙুল ফুটানো