David Attenborough, পরিচিতদের কাছে ৫ সেকেন্ডই যথেষ্ট, কণ্ঠ দিয়ে সনাক্ত করার জন্য। অসাধারণ একজন প্রকৃতিপ্রেমী লোক তিনি। ওনার কণ্ঠে আমরা শুনেছি Planet Earth, Life Series, The Blue Planet, BBC Wildlife Special… তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সাদাকালো, রঙ্গিন, এইচডি, থ্রি-ডি – সবরকম অনুষ্ঠানের জন্য বাফটা পুরষ্কার পেয়েছেন।
May 8, 1926 এ তার জন্ম, ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট লন্ডনে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। অবশ্য তার বাবা-মা আরো দুটো মেয়েকে পালক হিসেবে নিয়েছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই জ্ঞানের আশেপাশে বড় হয়েছেন তিনি। বাবা ছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল। আবার তিনি নিজেও ফসিল, শিলা, এগুলো সংগ্রহ করে কাটাতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে প্রকৃতি সংরক্ষণের মত বিষয় নিয়ে একটা সেমিনারে বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলেন। এই ছেলে বড় হয়ে ডেভিড এটেনবরো হবে না তো আর কে হবে?
১৯ বছর বয়সে ন্যাচারাল সায়েন্স নিয়ে অনার্স করলেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লেয়ার কলেজ থেকে। ওখানে আরো বেশি করে জানলেন ভূ-তত্ত্ব আর প্রাণীদেরকে নিয়ে।
বিজ্ঞান আর প্রকৃতিকে এতো সুন্দর করে কীভাবে তুলে ধরেন তিনি? জানতে হলে দেখতে হবে তার প্রথমদিকের কর্মজীবনের কথা। একটা প্রকাশনা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন তিনি। সেখানে বাচ্চাদের বিজ্ঞান বইগুলো সম্পাদনা করতেন তিনি। স্বভাবতই তাকে যে কোনো তথ্যের সবচেয়ে সহজ ভার্সনটা নিয়ে ভাবতে হতো ঐ সময়টাতে। খুব দ্রুত অবশ্য সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বিবিসির রেডিওতে চাকরি করতে চাইলেন, চাকরিটা পেলেন না। কিন্তু চোখে পড়ে গেলেন বিবিসির টেলিভিশন প্রযোজকের। এরপর থেকে শুরু করলেন ব্যাকগ্রাউন্ডে কণ্ঠ দেয়া।
এরপর থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। তার কণ্ঠে প্ল্যানেট আর্থ আর লাইফ সিরিজ যদি না দেখা থাকে, তাহলে কী জিনিস মিস করেছেন, আপনি নিজেও জানেন না। পৃথিবীর সবচেয়ে এক্সট্রিম জিনিসগুলো দেখা হয়েছে শুধু তার হাত ধরে। এমনকি কিছু দেশে ড্রিংকিং গেইম বানানো হয়েছে তাকে নিয়ে। খেলাটা এমন, উনি যতবারই কোনো superlative degree (largest, coldest, hottest, most remote, most exemplary, ইত্যাদি) বলবেন, ততবারই তারা এক পেগ ড্রিংক করবে। একদম সহজ-স্বাভাবিক জিনিসও তার কণ্ঠে আর ঢঙয়ে অসাধারণ হয়ে ওঠে।
৮৯ বছর বয়সে এসেও তিনি কাজ করে চলেছেন তার প্যাশনের জন্য। পৃথিবীকে এমন করে ভালোবাসতে পারা মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। তার করা সবগুলো ডকুমেন্টারীর লিস্ট – উইকিপিডিয়া লিস্ট
তাকে নিয়ে তারেক অণুর একটা বড়সড় লেখা পড়তে পারেন, সচলায়তনে