মানব অস্তিত্বের ইতিহাসের প্রশ্ন করা হলে ৪২ শতাংশ আমেরিকানই সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের মতবাদ মেনে নেন- এক পরিসংখ্যান বলে। বিবর্তনবাদের পক্ষে অসংখ্য প্রমাণ থাকার পরও তাঁরা আরামদায়ক মিথ্যায় বিশ্বাস করেন। নিচে ডারউইনের Theory of Evolution by the means of Natural Selection এর পক্ষে পাওয়া কয়েকটি মূখ্য প্রমাণের বিবরণ দিচ্ছি ।
ডিএনএ’র আবিষ্কার
“অরিজিন অফ স্পিসিস”এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো – চার্লস ডারউইন তাঁর থিওরি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন প্রজাতির নিশ্চিত পরিবর্তন প্রক্রিয়া না জেনেই। অর্থাৎ, ঘটছে জানতেন, কিন্তু ঠিক আসলে কোন জায়গাতে পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটছে, তা জানতেন না। তার বই অরিজিন অফ স্পিসিস প্রকাশিত হয়েছিলো ১৮৫৯ সালে। এর দশ বছর পর প্রথমবারের মত ডিএনএ সংশ্লেষণ করেন Friedrich Miescher. ১৯৫৩ সালে ওয়াটসন এবং ক্রিকের ডিএনএ এর আণবিক গঠন আবিষ্কারেরে পর বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত তাঁদের উত্তর খুঁজে পান।
ডারউইনের থিওরি প্রথম প্রকাশের পর (গ্রেগর মেন্ডেল এবং তাঁর The Fundamental Laws of Inheritance এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক), জিনতত্ত্বের আবিষ্কার বিবর্তনবিজ্ঞানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। কারণ ডিএনএ সকল প্রাণের ক্ষেত্রে সার্বজনীন, এর উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পৃথিবীর সকল প্রাণী একই পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত।
এটা আরো ব্যাখ্যা করে যে কিভাবে জিনগত পরিবর্তনের বিস্তার প্রাকৃতিক নির্বাচনের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিবর্তন ঘটায়। পরিশেষে, ডিএনএ হল বিবর্তনের চালকযন্ত্র। এটি একটি সুষ্ঠ- মাঝেমধ্যে নির্দয়- প্রক্রিয়া যার কোন পথপ্রদর্শকের দরকার হয় না। প্রাকৃতিক নির্বাচন একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রক্রিয়া, তাই একে বলা হয়ে থাকে “ঈশ্বর ঘাতক”।
মধ্যবর্তী জীবাশ্মের আবিষ্কার
প্রজাতির আবির্ভাব এবং বিলুপ্ত ঘটে, জীবন চলতে থাকে। এটা ফসিল বা জীবাশ্মের বিস্তৃত রেকর্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা- যা প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর পুরনো। এছাড়াও, এটা এমন এক ধারাবাহিকতার শৃঙ্খল যা সময়ের সাথে প্রজাতির পরিবর্তনের সাথে তাদের নানা পারষ্পরিক অগ্রগতি নিয়ে পড়াশোনায় বিবর্তন বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করে থাকেন। কথিত “মধ্যবর্তী ফসিল”- যেমন সাম্প্রতিককালে আবিষ্কৃত Pappochelys, কচ্ছপ এর মত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি ২৪০ মিলিয়ন বছর পুরনো সরীসৃপ- দুইটি ভিন্ন প্রজাতির বৈশিষ্ট্য একই সাথে বহন করে এদের মধ্যেকার “মিসিং লিংক” এর প্রমাণ দেয়, যদিও এটি সরাসরি উৎপত্তির প্রয়োজনীয় প্রমাণ নয়। জীববিজ্ঞানীরা প্রত্যেক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারকে বিবর্তনের ধারাবাহিকতার শূণ্যস্থান পূরণে ব্যবহার করেন।
অসংখ্য জীবাশ্মের উপস্থিতি প্রাণের আবির্ভাবের পর থেকে চলা চির পরিবর্তনশীলতার প্রমাণ দেয়। প্রাণের সূচনার প্রোক্যারিওটিক এক কোষী প্রাণী থেকে শুরু করে ক্যাম্বব্রিয়ানের বিস্ফোরণ, ডায়নোসর থেকে স্তন্যপায়ী, এ এক মহান ধারাবাহিক অভিযোজনের গল্প। সৃষ্টিতত্ত্ববিদরা বিশ্বাস করেন যে বিবর্তনের কিছু পর্যায় ব্যাখ্যাহীন, কিন্তু যতই মধ্যবর্তী জীবাশ্ম পাওয়া যাচ্ছে এটা পরিষ্কার হচ্ছে যে বিবর্তনের অগ্রগতির প্রত্যেকটা ধাপ ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
উদাহরণ হিসেবে- কিছু সৃষ্টিতত্ত্ববিদ বলেন যে বিবর্তনবাদ নাকি সরীসৃপ এবং পাখিদের মিসিং লিংকগুলো সনাক্ত করতে পারে না। Scientific American এর একটা পোস্ট এর যুক্তিখন্ডন করেছেঃ
“আসলে, জীবাশ্মবিজ্ঞানীরা নানা ট্যাক্সোনোমিক গ্রুপের জীবাশ্মের বিস্তারিত উদাহরণ সম্পর্কে জানেন। সর্বকালের বিখ্যাত জীবাশ্মের একটি হলো- Archaeopteryx, যার আছে ডায়নোসরের পালক আর কংকালের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পাখির শরীর কাঠামোর অদ্ভুত সম্মেলন। আরও কিছু জীবাশ্ম পাওয়া গেছে যা ছোট Eohippus থেকে ঘোড়ার বিবর্তন ব্যাখ্যা করে। তিমির চার-পেয়ে পূর্বপুরুষ Ambulocetus আর Rodhocetus এর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে যারা চার-পেয়ে ছিল আর স্থলে বাস করতো। খোলস বিশিষ্ট প্রানীর ফসিল দিয়ে আমরা শামুকের মিলিয়ন বছর যাবত হওয়া বিবর্তনের প্রমাণ পাই। ২০টার মতো হোমিনিড ফসিল (যাদের সব মানুষের পূর্বপুরুষ নয়) পাওয়া গেছে যারা Lucy the australopithecine আর আধুনিক মানুষের মাঝের শূন্যস্থান পূরণ করে”
অবশ্যই দৈবাৎ পরিবর্তন জিনিসটা ভুল সংশোধনী প্রক্রিয়ার মাঝে দিয়ে, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে ধারাবাহিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রজাতির বিবর্তন ঘটায়। বিবর্তনের কিছু শাখা কিছু পরিস্থিতিতে ভালো কাজ করে- আবার অন্য পরিস্থিতিতে- যেমন পরিবেশগত পরিবর্তন অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজাতির আগমনঃ একটা প্রজাতির বিলুপ্তি হয়ে যায়। উদারহণ হিসেবে – Wooly mammoths, sabre toothed tigers, panda bears। কিছু প্রজাতি অনেক পালটে গেছে, এবং এটা তাদের প্রজাতির জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে; যেমন-ডায়নোসরের বংশধর হিসেবে পাখির বেঁচে থাকা। আবার কিছু প্রজাতি রয়েছে যাদের বড় কোনো পরিবর্তনই হয়নি; যেমন-কুমীর, Coelacanths, সায়ানোব্যাকটেরিয়া।
জীবাশ্মের আবিষ্কার কালের ব্যপ্তিতে সকল প্রাণীর মধ্যে সম্পর্ক প্রমাণ করে। এর ভালো একটা উদাহরণ হচ্ছে সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত ফসিল Archaeornithura meemannae যা পাখিদের শাখার সবচেয়ে প্রাচীনতম সদস্য। এই প্রাণিটি এই শাখার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা শুন্যস্থান পূরণ করে, কারণ এটা ইঙ্গিত করে এর মতো আরো প্রাণী ছিল, যার মধ্যে খুঁজে না পাওয়া আরো পাখির মতো প্রাণীও রয়েছে। এই মধ্যবর্তী জীবাশ্মগুলো জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের প্রাণীদের তালিকায় নতুন নতুন নাম যোগ করে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়।
একক পূর্বপুরুষদের বৈশিষ্ট্যগত মিল
সাধারণত, বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা এক পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হওয়া দুইটি প্রাণীর মধ্যকার অমিলগুলো দেখতে পছন্দ করেন, তবে তাঁরা দুইটি প্রাণীর মাঝের সাদৃশ্যগুলোও দেখাতে পছন্দ করেন। এই কাজটি করার ফলে দুইটা লাভ হয়।
১) তাঁরা খুব সহজে কার্যরত বিবর্তন দেখাতে পারেন;
২) তাঁরা প্রজাতিকরণ কিভাবে হয় সেটাও দেখাতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে গঠণগত দিক থেকে- সাধারণ হরিণ-আমেরিকান হরিণ বা Moose-ঘোড়া আর জেব্রা খুব একটা ব্যতিক্রম না। আর তারা বিবর্তনের ধারায় একই পূর্বপুরুষ থেকে যে বিবর্তিত হয়েছে সেটা বোঝাই যায়। একইভাবে সী গাল আর পেলিকানরাও তাদের গঠণ আচরণ আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে ডিএনএগত ভাবে একই রকম। আর তারাও এক পূর্বপুরুষ থেকেই দুইটি খুব বেশি ভিন্ন না হলেও অনেক বেশি পরিবর্তন আনা পথে বিবর্তিত হয়েছে- যেটা বোঝাও খুব কঠিন না। আবার হোমো সেপিয়েন্স (মানুষ) আর হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেনসিসদের মধ্যকার অমিলের চেয়ে মিলের হারই বেশি যা প্রমাণ করে এই দুই প্রকারেরও একই পূর্বপুরুষ ছিল যা থেকে এই দুই প্রজাতি সাম্প্রতিককালেই আলাদা পথে যাত্রা শুরু করেছে।
ডারউইন ১৫০বছর আগে পরিস্থিতির পরিবর্তনের সাথে কিভাবে প্রজাতির অপসরণ ঘটে এর বর্ণনা দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে এই সাধারণত বৈশিষ্ট্যগুলো সন্দেহাতীতভাবে বিবর্তনের পক্ষে রায় দেয়।
অকেজো বৈশিষ্ট্য চিহ্নিতকরণ
বিবর্তনের পক্ষে সবচেয়ে ভালো যুক্তি হচ্ছে অকেজো এবং বিলুপ্তপ্রায় বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি– শারীরিক বৈশিষ্ট্য যা প্রাণীর জিনগত নকশা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর বেশীরভাগই তেমন বিপজ্জনক নয়, তবে কিছু মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে (যে কারণে এদের প্রায়ই “Evolutionary baggage” বলে অভিহিত করা হয়।
ঠিক যেমন পূর্ণবিকশিত বৈশিষ্ট্যগুলো রাতারাতি আবির্ভূত হয় না; যেমন – পাখির ওড়ার ক্ষমতা, অথবা হাতির লম্বা ও চৌকষ শুঁড়; ঠিক তেমনি দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য যেসব বৈশিষ্ট্যের আর প্রয়োজন নেই, সেগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, এই বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রাখার জন্য দায়ী জিনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়, যে কারণে বিলুপ্তপ্রায় বা দীর্ঘস্থায়ী বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের প্রাচীনরূপের সাথে খুব কমই সাদৃশ্যতা বয়ে বেড়ায়। মানুষের মধ্যে চিরায়ত উদাহরণগুলো হলো- এপেন্ডিক্স, আক্কেল দাঁত, ককিক্স (Tail bone), এবং টনসিল। কিছু আচরণও বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যেমন- Palmar Grasp Reflex, আর আমাদের সাপ এবং পতঙ্গের সহজাত ভীতি।
ত্রুটিপূর্ণ বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা
যেহেতু আমাদের বর্তমান শারীরিক গঠন আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে, আমাদেরকে ঠিক আদর্শ প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা যায় না; মানবদেহের গঠনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। যেমন- গলবিল (Pharynx) খাবার ও অক্সিজেন উভয়েরই পরিবাহক হিসাবে কাজ করে। পুরুষের ক্ষেত্রে, মূত্রাশয় থেকে মূত্র এবং শিশ্নে শুক্রাণু বহনে মূত্রনালী সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের ভিটামিন সি এর জৈব সংশ্লেষণের অক্ষমতা, মহিলাদের সংকীর্ণ Birth Canal।
বিবর্তন জিনিসটা সৃষ্টিতত্ত্বের মত ত্রুটিহীন গঠনের নিশ্চয়তা দেয় না। কার্যকরী অভিযোজনই কেবলমাত্র টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট। আরো বড় ব্যাপার হচ্ছে বিবর্তন শূন্য থেকে কাজ করতে পারে না; প্রত্যেক প্রজাতিকেই তার পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে পরিবর্তিত হতে হয়, যা অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ বৈশিষ্টের আবির্ভাব ঘটায়।
ভ্রূণ গবেষণা
মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর ভ্রূণগুলো কিছু নিদির্ষ্ট ধাপে প্রায়শই একই শারিরীক গঠন বহন করে। কারণ তারা একই প্রাচীন জিনের অংশীদারীত্ব বহন করে।
Discovery News এর মতে-
“সকল প্রজাতিতে এই প্রাচীন জিনগুলো ভ্রূনবিকাশের একটা মধ্যবর্তী “Phylotypic Period” এ বিকশিত হয়। বিকাশমান মানুষ ও মাছ এবং অন্যান্য প্রজাতির ভ্রূন একটা সময় একই বৈশিষ্ট্য বহন করে, যেমন- লেজ এবং কানকো-সদৃশ গঠন।
মানব ভ্রুণের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য দেখা যায় কারণ- সকল প্রাণী একই ধরনের অতি প্রাচীন জিন বহন করে। নেচার ম্যাগাজিনের দুটি আলাদা পেপার অনুযায়ী, এই প্রাচীন জিনগুলো কোষ বিকাশের সময়কালের, যা ভ্রূনবিকাশের মধ্যবর্তী এক ধাপে বিকশিত হয়। এই আবিষ্কার এটা ব্যাখ্যা করে যে কেন আমাদের কয়েক সপ্তাহ বয়সী ভ্রূনের একটি লেজ থাকে এবং কেন মানব ভ্রূন অন্যান্য বৈশিষ্ট্য- যেমন, পশম সদৃশ চুল ও মাছের ভ্রুণের সাথে সদৃশতা বজায় রাখে, যা অন্য প্রাণীদের ভ্রুণ বিকাশের ধাপগুলোতেও দেখা যায়।”
বস্তুত- এই সাদৃশ্যগুলো কাছাকাছি ধরনের প্রজাতিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ক্ষুদ্র সময়কালে বিবর্তন পর্যবেক্ষণ
একটা ধারণা করা হয় বিবর্তনের সময়কাল এতো বড় যে তা মানুষের পক্ষে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। কিছু ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক পরিবর্তনগুলো এতো আকস্মিকভাবে ঘটে যে কিছু প্রজাতি পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়।
একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে- Peppered Moth (এক ধরণের কীট), যার রং শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। শিল্প বিপ্লবের আগে এই মথগুলো মূলত সাদা এবং কালো এই দুই প্রকৃতির ছিল। কারখানাগুলোর দূষণের ফলে সাদা রঙয়ের মথরা সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিল না। ফলাফলস্বরূপ কালো মথের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং সাদা মথের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। University of Wisconsin এর জিনতত্ত্ববিদ Sewall Wright জানান, “এটা বিবর্তন প্রক্রিয়ার পরিষ্কার উদাহরণ যা আদতেই পর্যবেক্ষন করা সম্ভব হয়েছিল।”
কিন্তু অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণও আছে। এন্টি বায়োটিক ঔষধ নিয়মিত আপগ্রেড করা হয় কারণ ব্যাকটেরিয়া আগের এন্টি বায়োটিক প্রতিরোধ করার উপায় বের করে ফেলে, এবং টিকে থাকে। একইভাবে অনেক প্রাণি কীটনাশক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করেছে- যেমন- ফ্রুট ফ্লাই এবং ইঁদুর। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো- কলোরাডো পটেটো বিটল বিবর্তিত হয়ে ৫২টি আলাদা যৌগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিজ্ঞানীরা বিবর্তনলব্ধ জ্ঞান দিয়ে উন্নত ঔষধ ও রোবট তৈরির কাজ করছে। সাম্প্রতিককালে University of Cambridge এর গবেষকরা একটি রোবোটিক সিস্টেম তৈরি করেছে যা তাদের পরের প্রজন্ম তৈরি করতে এবং পরের প্রজন্মের যে শাখাটির ব্যবহার সবচেয়ে উপকারি তার তথ্য পরের প্রজন্মে প্রদান করছে।
আর এভাবে “বিবর্তনের প্রমাণ নাই” বলে চিৎকার করা সৃষ্টিতত্ত্ববিদদের যুক্তি খন্ডন করা হলো।
বিবর্তনের পরিবর্তনগুলা অনেক সুক্ষভাবে হয়। তাহলে মানুষ এর কাছাকাছি কেন আরেক প্রানি নেই। বানরের বুদ্ধিমত্তা ভালো কিন্তু তা মোটেও মানুষের কাছাকাছি নয়। কেন আমরা মানুসের কাছাকাছি প্রজাতি দেখছি না। যেহেতু বিবর্তন লাখলাখবছরের চলমান সুক্ষ ও ধীর প্রক্রিয়া। তাহলে কেন মানুসের কাছাকাছি আর কোন প্রানী নেই। গ্যাপটা এত বড় কেন?
দুঃখিত দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য। বানরের বুদ্ধিমত্তা মানুষের কাছাকাছি না কারণ মানুষের মস্তিস্ক তুলনামূলকভাবে বড়।
আর মানুষের কাছাকাছি প্রাণী নেই কে বললো? শিম্পাঞ্জীরা মানুষের সবচেয়ে নিকটাত্মীয়। তাদের বুদ্ধিমত্তায় অসাধারণ পরিবর্তন আসছে। দেখতে পারেন- https://bigganjatra.org/chimps_reached_stone_age/
নিয়ান্ডারথাল ছিলো। কিন্তু মানবজাতি মানুষের কাছাকাছি বুদ্ধিমান প্রাণীদের ধ্বংশ করে ফেলেছে। আর একটা কথা হচ্ছে মানুষের ভিতরেও অনেক ধরনের বুদ্ধিমান মানুষ আছে।যেমন চাইনিজ, ককেশিয়ান, নিগ্রো ইত্যাদি। 🙂
১) Miescher DNA সেপারেট করেছিলেন, সংশ্লেষণ নয়।
ভুল তথ্য ২) অ্যাপেন্ডিক্স মানবদেহের অপ্রয়োজনীয় অংশ।
সঠিক তথ্য অ্যাপেন্ডিক্স শরীরের ইমুনিটির জন্য কাজ করে এবং মাইক্রোবসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
৩)টনসিল শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা একটি লিম্ফয়েড অরগান এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে প্রহরীর মত কাজ করে। আর এখানে কিনা এক নন মেডিকেল বলে টনসনসিল গুরুত্বত্বহীন।
৪) ভিটামিন সি জৈব সংশ্লেষণ হয় না এটা আবার কেমন ত্রুটি।সবই যদি জৈব সংশ্লেষণ হয় তো তো কোনো প্রাণীর খাওয়াই লাগত না।
৫) সাপ পতঙ্গে ভীতি কোনোভাবেই বিবর্তনের প্রমাণ নয়। মানুষ সাপের অনিষ্টতার কারনে তাকে ভয় পায়। বাস, ট্রাককে ভয় পায় না কারন এর চালক কর্তৃক দুর্ঘটনা না ঘটার সমম্ভাবনা প্রায়১০০ এর কাছাকাছি। আর সাপের দুর্ঘটনা ঘটাবার সম্ভাবনা প্রায় ১০০%
৫) ফ্যারিন্ক্সের ত্রুটি আছে বলে ফেললেন কিন্তু এপিগ্লটিসের অস্তিত্ব দেখলেন না। তাহলে ত্রুটি কোথায় গাজা খান নাকি?
টনসিল আর এপেন্ডিক্স একটা সময় কাজে আসলেও পরে সেটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। টনসিল ৪-১০ বছর পর্যন্ত কাজ করে, পরে সেটা সংকীর্ন হতে থাকে। এটা IDকে সাপোর্ট করে না।
এপিগ্লটিস আছে বলে ডিজাইন ভালো হয়ে যায় না, বিষম খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় না, এটাও IDর সাথে সাংঘর্ষিক।
নন মেডিকেল বলে যে বিবর্তন বুঝা যাবে না, আর মেডিকেল হলেই যে বিবর্তন বুঝে বসে থাকবেন এর এর চেয়ে ভালো প্রমাণ দেয়াটা কঠিন।
আর হ্যাঁ, অকেশনালি গাঁজা খাই, কিন্তু সেটা কীভাবে লেখাকে প্রভাবিত করতে পারে?? আপনার টোনটা অপছন্দের।
আর ইউ ডু আন্ডারস্ট্যান্ড এখানের প্রত্যকটি পয়েন্ট ক্রেডিবল সোর্স থেকে নেয়া, এবং বিশ্বজুড়ে থাকা ইভুলুশনারী বায়োলজিস্টদের মতৈক্যের ভিত্তিতে করা…আর আপনি নেটে বসে তাঁদের ভুল প্রমাণিত করছেন??
এইখানে লেখার যোগ্যতা আমি রাখিনা তবুও লিখছি…
বিবর্তন হচ্ছে….ডাইনোসর থেকে পাখি পশুগত বিবর্তন, অগ্নিগিরিরর লাভা থেকে মাটি রাসায়নিক বিবর্তন, পৃর্বে মানুষ শত বছর বাচতো..আকার হতো বিশাল এখন আমরা ৭০ বছর আর ৫ফুট ৬ হলেই অনেক কিছু এটাই মানুষের বিবর্তন। আমার DNA সাথে ইদুরের DNA মিলে তার মানি আমি ইদুরের পরবর্তী প্রজন্ম নাকি পরে ইদুর হব।DNA মিলতেই পারে প্রাণীকুলের সৃস্টি মাটি থেকে। আমার পূর্ব পুরুষ মাটি দিয়ে তোইরী তাই মিল থাক্তেই পারে……
বিবর্তন মানে ডাইনোসর থেকে পাখি না বা আগ্নেয়গিরি থেকে মাটি না (অবশ্যই না, বিবর্তন প্রাণ নিয়ে কথা বলে)। বিবর্তন হচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কোন জীবের বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরিবর্তন কিভাবে ছড়িয়ে পরে। এই প্রক্রিয়ায় নতুন প্রজাতি আসতেও পারে বা আগের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হতে পারে। মানুষ(হোমো সেপিয়েন্স) শত বাঁচতো বা আকার বিশাল এটার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নাই, এটা ধর্মীয় গ্রন্হের উক্তি। “আমার DNA সাথে ইদুরের DNA মিলে তার মানি আমি ইদুরের পরবর্তী প্রজন্ম নাকি পরে ইদুর হব”> এটা মানে আপনারা জিনগত বৈশিষ্ট্যের সাথে ইদুরের মিল কতটুকু সেটা বোঝায় এবং আপনাদের কমন এনসেস্টর(সাধারণ পূর্বপুরুষ) ছিলো সেটা বোঝায়। যেমন, বাংলাদেশে ব্যবসায়ী জামালের লাশের পরিচয় উদ্ধারের… আরো পড়ুন
আপনার এই বিবর্তনবাদ প্রমানের মডেল কি? যেমন ধরুন ফিজিক্সের E = mc2 একটা মডেল। এই মডেল দিয়ে সুত্রটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকলে সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব। আমি কি দিয়ে যাচাই করবো বিবর্তন কে? আপনার ডিএনএ উপাত্ত আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে। আরেকটা ব্যাপার জানতে চাই, বিবর্তনের একেবারে প্রাথমিক অবস্থা কি? মানে কিসে থেকে সব কিছুর শুরু। যার থেকে সব কিছুরই শুরু, তারই বা আগমন হলো কোথা থেকে? ফালতু যত্তসব। আমি বাসা ছাড়া থাকতে পারিনা, মায়া লাগে। কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাকে অন্যত্র পড়াশোনার জন্য থাকতে হয়। প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো, কান্না করতাম। এখন ব্যাপারটার সাথে মানিয়ে নিয়েছি। এই খাপ-খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকেও… আরো পড়ুন
যে কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করা, তাকে সত্য প্রমাণ করার চেয়ে সহজ। বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করতে চান? প্রাক ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে বের করুন, বিবর্তন ভুল প্রমাণিত হবে।
অথবা ডারউইনের দেওয়া চ্যালেঞ্জ নিন “ “যদি দেখানো যায় যে কোন জটিল প্রাণী আছে যার জটিল কোনো অঙ্গের ব্যাপারে একাধিক, ক্রমান্বয়ে হওয়া, হালকা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় না, তবে আমার এ তত্ত্ব পুরোপুরিভাবে ভুল প্রমাণিত হবে।”
বিবর্তনের প্রাথমিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন, সে সময়ের অণুজীবদের ফসিল খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
আপনি যেটা বলছেন সেটা বিবর্তন না, কারণ এটা বংশানুক্রমিক না।
আপনিও মরার পরে বুঝবেন, ধন্যবাদ।
বিবর্তন বাদ নিয়ে এত লাফালাফি করার কিছু নাই। কেননা সত্য বলতে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান খালি পরিবর্তন হয়েছে, আর অনেক ভুল শুধরেছে… এরিস্টেটলের বহু কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বহু পরে, কই তখন তো কত বিজ্ঞানই তার অনেক মতকে গ্রহন করতে পারেনি। এরিস্টেটল বললেই যে সূর্যের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা লাগবে এমন কোনো কথা আছে? ডারউইন বললেই যে, বানর দিয়ে মানুষ হবে এর কোননো অকাট্য প্রমাণ নেই! তবে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বরতে পারি পরিবর্তনশীর বিজ্ঞান পরবর্তিতে এটা বলতে বাধ্য হবে যে, বানর থেকে মানুষ নয় অতিকায় দীর্ঘ মানুষ (৬০ হাত/গজ) হতে, দীর্ঘায়ু মানুষ হতে বিবর্তন হয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি take this challenge… আরো পড়ুন
আপনি চ্যালেঞ্জ জিতে গেছেন ভাই।
ডারউইন তাঁর কোন বইতেই লিখেন নি “বাঁনর থেকে মানুষ এসেছে”।
৬০ হাত/ গজ থেকে বর্তমান অবস্থায় এসেছে এর প্রমাণ দিন।
বিবর্তন কি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত ?
হ্যা বা না…!!
হ্যাঁ।
না
কেন না?
yes, its 100% proved
বিঘো ব্যাক্তি ছাড়া আর কেউ দশমিক হতে পারে না