২০১৫ সালের নভেম্বরের ১৯ তারিখে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে HappyToBleed স্লোগান সহকারে একটা ক্যাম্পেইন শুরু করার ডাক দিয়েছিলেন নিকিতা আজাদ। তার ক্যাম্পেইনের মূলসুর ছিলো তিনটিঃ
#HappyToBleed
দুইদিন পর এই ক্যাম্পেইনকে একটা ফেসবুক ইভেন্ট হিসেবে ছড়িয়ে দেন তিনি। এই ক্যাম্পেইনের পেছনে মূল কারণটি ছিলো কেরালার সবরিমালা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গোপাল কৃষ্ণের করা কিছু মন্তব্য। ১৩ নভেম্বর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পুরোহিত মশাই বলেছিলেন, “যখন শুচিতা শনাক্তকারী যন্ত্র (নারীদের পিরিয়ড চলছে কিনা) আবিষ্কৃত হবে, তখনই শুধুমাত্র আমরা চিন্তা ভাবনা করে দেখবো নারীদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা।” এই মন্তব্যের পর নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে, এমনকি সমাজের বিভিন্ন সচেতন মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা আর নিন্দা শুরু হয়। আইনজীবী সুধা রামালিঙ্গম বলেন, “এটা কেমন অদ্ভুত চিন্তা? পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েরা কেনো অশুচি হবে? মানুষের আগে বুঝা উচিৎ ‘নারী’ এবং ‘নারীত্ব’ কী। তারপরই এই সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলতে আসা উচিৎ।” কবি রবি শংকর বলেন, “আরেকটি যন্ত্র বানানো যায় যেটা মন্দিরে প্রবেশকারী পুরুষের পবিত্র আর নিরামিষাশী জীবন শনাক্ত করতে সক্ষম। তাহলে ভীড় ৯০% কমে যাবে।”
এমনই এক প্রতিবাদে মুখর নিকিতা আজাদ করে ফেললেন নতুন জাগরণ সৃষ্টি। তিনি গোপাল কৃষ্ণ বরাবর একটা চিঠিও লেখেন। ফেসবুকে তার ডাকা ক্যাম্পেইনে সাড়া দিয়ে নারীরা সাধারণ কাগজ থেকে শুরু করে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রতীকী প্ল্যাকার্ডে “হ্যাপি টু ব্লিড” লিখে নিজেদের ছবি তুলেছেন, এরপর সেটা ফেসবুক বা অন্যান্য গণমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। অনেক পুরুষও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়ে প্ল্যাকার্ডে নিজস্ব প্রতিবাদের ভাষা লিখে সমর্থন করেছেন এই ক্যাম্পেইন।
অংশগ্রহণকারীদের প্ল্যাকার্ড হাতে হাস্যোজ্জ্বল ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়লো, আর তারপরই ফেসবুকে বিভিন্ন নারীর লেখা বেশ কিছু পোস্ট/স্ট্যাটাস দেখলাম, অনলাইন পোর্টালের কিছু লেখা পড়লাম। সবই পিরিয়ড নিয়ে, সবই পিরিয়ড নিয়ে মেয়েদের জীবনে কী কী অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে, এবং সবগুলোই গণসচেতনতা তৈরির জন্য।
পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ভাবলাম, অন্তত একটা ঢেউ এলো যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও মেয়েরা সংকোচ ভেঙে নিজেদের একটা স্বাভাবিক শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে উৎসাহী হয়েছে। আরও জানতে পেরেছি এমন অনেক ছেলের কথা, যারা পিরিয়ড নিয়ে হাসাহাসি না করে মেয়েদের যথাসাধ্য সাপোর্ট দিচ্ছে। কিন্তু এখন আমি যা বলতে চাই, সেটা পিরিয়ড নিয়ে ছেলেমেয়ের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে নয়; বরং পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, গুরুজনের সাথে পিরিয়ড নিয়ে আমাকে কী ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, সেটা সম্পর্কে।
ঘটনা এক
যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি, আমার এক বান্ধবী অদ্ভুত এক খবর নিয়ে এলো। “জানিস, মেয়েদের না নিচ দিয়ে প্রতি মাসে রক্ত পড়ে! একমাস বন্ধ থাকলে নাকি সেটা খারাপ।” আমিসহ দলের অন্যরা হকচকিয়ে গেলাম। কই, আমাদের তো পড়ে না? আমরা কি তাহলে অস্বাভাবিক? বান্ধবী অভয় দিয়ে বলল, “আরে, এটা বড় মেয়েদের হয়। আমার মায়েরও হয়। একমাস ধরে আমার মায়েরটা বন্ধ ছিলো বলে মা ডাক্তার দেখিয়েছে। আর তারপরই আমাকে এই ব্যাপারে জানিয়েছে।” আমরা বাদবাকিরা তখনও হজম করে উঠতে পারছিলাম না জ্ঞানটা। মোট কথা, বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। তবে ঠিকই একটা ভয়মিশ্রিত কৌতূহল জেগে উঠলো এই বিষয়ে।
ঘটনা দুই
পঞ্চম শ্রেণিতে উঠার পর এক সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে মা আমাকে একটা ম্যাগাজিন পড়তে দিলেন। বললেন, “এটা ভালোমতো পড়। অনেক কিছু জানতে পারবে।” ম্যাগাজিনটা স্বাস্থ্য বিষয়ক। ঐ বয়সে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস ছিলো, স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন নয়। তাই রাতের বেলা অনাগ্রহ নিয়েই মাতৃ আদেশ পালন করার জন্য উল্টে পাল্টে দেখতে বসলাম। হঠাৎ সূচীপত্রে চোখ আটকে গেলো। একটা প্রবন্ধ আছে “মাসিক/ঋতুস্রাব” নিয়ে। ততদিনে আমি “রক্ত পড়া”র ঘটনার বেশ কিছু অফিসিয়াল নাম জেনেছি – মাসিক, মিনস, ঋতুস্রাব ইত্যাদি। তবে কেউ শিখায়নি বলে “মেনস”কে আমরা “মিনস” বলতাম। “মেনস” সংক্ষিপ্ত রূপটা যে মাসিকের ইংরেজি নাম “মেন্সট্রুয়েশন” থেকে এসেছে, এটাও জেনেছি অনেক বছর পর।
যা হোক, সাথে সাথে পড়তে বসলাম প্রবন্ধটা। একটু পরই মা তাড়া দিলেন লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়তে। পরদিন সকালে উঠে স্কুলে যেতে হবে। আমার তো চোখে ঘুম নেই! আবার মায়ের কথার অবাধ্য হয়ে পড়া শেষ করার সাহসও হলো না। তাই জোর করে ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। গভীর রাতে মা টয়লেটে যাওয়ার জন্য যখন ঘরের বাতি জ্বালালেন, এক লাফে আমি বিছানার বাইরে। তড়িঘড়ি ম্যাগাজিনটা খুলে বাকি অংশটুকু পড়তে শুরু করলাম। মা তো টয়লেট থেকে বেরিয়ে আমাকে ঐ অবস্থায় দেখে অবাক! আর আমি লজ্জায় শেষ। বারবার মনে হচ্ছিলো, “হায়! মা কি বুঝে ফেললেন আমি কোন লেখাটা পড়ছি?”
খুবই ছোট্ট একটা ঘটনা। কিন্তু দেখুন, মা সরাসরি আমাকে বলতে পারেননি কেনো তিনি ম্যাগাজিনটা এনেছেন। আমিও লজ্জা কাটিয়ে ভাবতে পারিনি, এই প্রবন্ধটা পড়া কোনো লজ্জার বিষয় নয়।
ঘটনা তিন
ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য অর্থনীতি বইয়ে পিরিয়ড নিয়ে যে অধ্যায়টা ছিলো, সেটা মনে হয় হাইস্কুলের সব বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায়। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে এই অধ্যায়টা পড়তো, সেটা নিয়ে আলোচনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতো। কিন্তু আফসোস, এই অধ্যায়টাও পিরিয়ড সম্পর্কে আমাদের সবকিছু জানায়নি। অনেক কিছুই বুঝিনি, আর শিক্ষকরা তো এটা না পড়িয়েই পরের অধ্যায়ে চলে গিয়েছেন। এমনকি নবম দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ে প্রজননতন্ত্রের যে অধ্যায় আছে, সেটা থেকেও স্পষ্ট করে অনেক ব্যাপার বুঝা যায় না। মানুষকে নিজের শরীর চেনানোর জন্য হর্তাকর্তারা বইয়ে অধ্যায় জুড়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেটার কন্টেন্ট খোলাসা করে বুঝান নাই কোনো শিক্ষক। এতোটাই রক্ষণশীল আমাদের সমাজ!
তাই পিরিয়ড নিয়ে আমাদের মেয়েদের মধ্যেই চলতো নানা ভ্রান্ত ধারণার বুনন। পিরিয়ড হলে এটা খাওয়া ঠিক না, সেটা করা ঠিক না…।
ঘটনা চার
যখন আমার পিরিয়ড হলো, আমি ঘাবড়ালাম না। ততদিনে আমি জেনে গেছি, এটা আমার হবে। সেদিন স্কুলে পরীক্ষা ছিলো। ভোর বেলা উঠে পড়তে বসেছি, কেমন যেন অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি হতে লাগলো। গা ম্যাজ ম্যাজ করছে, তলপেটে অদ্ভুত চিনচিন ব্যথা। একটু পর দেখলাম সাদা সেমিজে রক্তের দাগ। বুঝলাম, ঘটে গেছে ঘটনা। কী করবো, বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মাথায় এলো, এই অবস্থায় মায়ের সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করি। মা দেখে কিছু একটা ব্যবস্থা নিবেন।
যেই ভাবনা, সেই কাজ। সেমিজ পরে মায়ের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলাম। একটু পর মা ডাকলেন। একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে জিজ্ঞেস করলেন, এমন রক্তপাত এর আগে কখনও ঘটেছে কিনা। বললাম, না। মা বললেন, আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসে একবার করে ব্লিডিং হবে। যদি কোনো মাসে না হয়, সেটা যেন মাকে জানাই। আর এই রক্তপাত হবে নির্দিষ্ট দিন পর পর। মানে একটা চক্র।
ব্যস এটুকুই কথা হয়েছিলো মায়ের সাথে আমার। একটা প্যাড কতক্ষণ পরে থাকবো, কতোটুকু ভর্তি হলে প্যাড পাল্টাতে হয়, সবকিছু নিজে নিজে শিখেছি। প্রথম কয়েকবার জামায় ভরে গিয়েছিলো, টেরই পাইনি। পরে এই অবস্থা এড়িয়ে চলার জন্য পিরিয়ড হলে বাসায় বসে থাকতাম। ধীরে ধীরে সবকিছু সামলাতে শিখেছি। কিন্তু এতো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হয়ে প্রথমেই এই শেখাটা হয়ে যেতো যদি মা, শিক্ষক, বা অন্য গুরুজনেরা তাদের লজ্জা ভেঙে পিরিয়ড সম্পর্কে আমাকে শিক্ষা দিতেন।
ঘটনা পাঁচ
আমার বেলায় তাও মুখ ফুটে মা দুটো কথা কয়েছেন। কিন্তু আমার এক বান্ধবীর বেলায় ঘটেছিলো আরও করুণ কাহিনি। ওর প্রথমবার পিরিয়ড হওয়ার পর ওর মা ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের বাসার কাজের দিদিকে। ঐ দিদিই বান্ধবীকে পিরিয়ড সম্পর্কে বুঝিয়েছিলেন। শিখিয়েছিলেন কীভাবে কী করতে হয়।
চিন্তা করা যায়, কতোটা লজ্জায় আর কতোটা রক্ষণশীলতায় মোড়া থাকলে একজন মা তার মেয়েকে পিরিয়ড সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান দিতে পারেন না? ধার করে নিয়ে যেতে হয় আরেকজনকে?
ঘটনা ছয়
আমার ছোট ভাই একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “দিদি, মাসিক মানে কী?” তখন বোধহয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো ও। নিশ্চয় মেয়েদের কাছ থেকে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বই নিয়ে পড়েছে! লজ্জা পেলাম ভীষণ। রাগ দেখিয়ে বললাম, “জানি না। কী ফালতু প্রশ্ন করোস!” ভাই এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিলো। সাথে সাথে বললো, “তুইই একটা ফালতু। অমুক দিদিকে জিজ্ঞেস করলাম, কতো সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলো। বললো, এটা মেয়েদের একটা স্বাভাবিক ঘটনা। আর তুই?” দ্বিতীয় দফা লজ্জা পেলাম। আসলেই তো! আমি নিজেই বা কেনো এতো রক্ষণশীল আচরণ করলাম? কেনো ঐ দিদির মতো ফ্রিলি বুঝিয়ে দিতে এতো বাঁধলো আমার? কেউ জানতে আগ্রহী হলেও যদি আমরা সেটাকে খারাপ কৌতূহলের তকমা লাগিয়ে নিন্দা করি, তাহলে আর রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?
তখনই একটু একটু করে রক্ষণশীলতার বেড়া ভাঙতে শুরু করলাম।
ঘটনা সাত
উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় মেয়েদের একটা হোস্টেলে থাকতাম। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর খেয়াল করলাম, কেউ কেউ ফিসফিসিয়ে কী যেন বলছে। অনেকে মুচকি হাসতে লাগলো, টিটকারি মারতে লাগলো। হঠাৎ জামার পেছনে তাকিয়ে দেখি, রক্তের ছোপ। প্রচণ্ড বিব্রত হলাম। লজ্জার চোটে মনে হচ্ছিলো সবগুলোকে খুন করে ফেলি। হায়! আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারটা এভাবে সবার সামনে ফাঁস হয়ে গেলো?
কিন্তু আদপেই কি এটা লুকোচুরি, হাসিঠাট্টার বিষয়? ওরাও তো মেয়ে ছিলো, ওদেরও তো পিরিয়ড হতো। তারপরও কেন বিষয়টা এতোখানি গোপন হিসেবে ধরতাম আমরা?
একটা সময় আমি নিজেও কি এমন ছিলাম না? কারও সাদা কাপড়ে রক্তের ছোপ লাগলে “জাপানের পতাকা” বলে আমিও কি হাসাহাসি করিনি? ছিঃ কী লজ্জা লাগে ভাবলে এখন! এখন মনে হয়, একটা মেয়ের এই অবস্থা দেখে কীভাবে তামাশা করতাম? পরে নিজেই ব্যাখ্যা বের করেছি এহেন মানসিকতার। আমাদের সমাজই (বাবা, মা, আত্মীয়, প্রতিবেশী, শিক্ষক) তো “পিরিয়ড” ব্যাপারটাকে গোপন, লজ্জাজনক, খারাপ হিসেবে শেখায়। এজন্যেই এটা “গোপন” থেকে “প্রকাশ্য” হয়ে গেলে আমরা মশকরা করি।
শেষে বলতে চাই…
যে ঘটনাগুলোর কথা বললাম, এগুলো সবই কমপক্ষে দশ বছর আগে ঘটেছে। এই দশ বছরে সমাজ খুব একটা পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে একটা ঢেউ যেহেতু এসেছে, আশা করি এই সুযোগে সবাই পিরিয়ড বিষয়ে জ্ঞান লাভের চেষ্টা করবেন। এটা যে অশুচি কিছু নয়, ভয়ংকর কোনো ঘটনা নয়, সেটা অনুধাবন করবেন।
আমার প্রধান লক্ষ্য হলেন সকল মা-বাবা, শিক্ষক, গুরুজন। আপনারা ছেলেমেয়ে উভয়কেই পিরিয়ড সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দিন। উপরের ঘটনাগুলোর মত বিব্রতকর ঘটনা আপনার সন্তানের জীবনে ঘটতে দিবেন না প্লিজ! পরিবারে খোলাখুলি আলোচনা হলে প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব সবার সাথেই খোলাখুলি আলোচনা হবে।
তবে পরিবাকেই এগিয়ে আসতে হবে প্রথমে। এতে করে অবসান ঘটবে অনেক মিথের, জল্পনা কল্পনার, ভ্রান্ত ধারণার।