প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে আমরা আমাদের জানা ৫টি ইন্দ্রিয় এবং অনেকের কাছেই অজানা আরো ১২টি ইন্দ্রিয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পর্বে ইন্দ্রিয় নিয়ে আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতাগুলো আর পুরো তিন পর্বের সকল তথ্যের তথ্যসূত্র উপস্থাপন করবো।
|| প্রথম পর্ব || দ্বিতীয় পর্ব ||
ইন্দ্রিয় সম্পর্কে আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতাসমূহ
আমরা অধিকাংশ মানুষই যা কিছু বর্তমানে প্রচলিত, বা চোখের সামনে যা কিছুর উদাহরণ পাওয়া যায় তার বাইরে জানতেই চাই না; ভাবা তো দূরের কথা! এ কারণে আমাদের জ্ঞান ও চিন্তাভাবনা সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে (আসলে আমরা করে ফেলি)। ইন্দ্রিয় সম্পর্কে চিন্তাভাবনাও এই প্রভাবমুক্ত নয়। ইন্দ্রিয় সম্পর্কে সেরকমই কিছু চিন্তার সীমাবদ্ধতা ও সেইসব বিষয়ে আমার ভাবনা লেখাটির এই অংশের আলোচ্য বিষয়।
সীমাবদ্ধতা #১: “আমরা বর্তমান ইন্দ্রিয়সমূহকে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মনে করি।”
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: আমরা কোনো নির্দিষ্ট ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যা কিছু অনুভব করি আমাদের মনে হয় যেন ওটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ অনুভূতি। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে কোনো একটি উদ্দীপনাকে আপনি যতটুকু পরিসরে অনুভব করতে পারেন, তার চেয়ে বেশী কিছু আপনি অনুভব করতে পারেন না বলে তা নিয়ে কোনো ধারণাও আপনার মাথায় আসে না, যদি না আপনি কৌতূহলী হন। যেমন ধরুন আমরা আলোর একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিসরই (৩৯০ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার) দেখতে পাই যাকে বলা হয় দৃশ্যমান আলোক বর্ণালী (visible light spectrum)। কিন্তু আমাদের চোখ অবলোহিত (infra-red), পোলারিত (polarized), বা অতি বেগুনি (ultra violet) রশ্মি দেখতে পাই না। আবার আমাদের জিহ্বার স্বাদকোরকে মূলত মিষ্টি, নোনতা, টক, তেতো, এবং উমামি এই ৫ ধরনের স্বাদের গ্রাহকই রয়েছে, বাকি স্বাদগুলো এইসব স্বাদের সমন্বয়েই অনুভূত হয়। এরকম কয়ধরনের স্বাদগ্রাহক হওয়া সম্ভব তা কেউ বলতে পারে না; হয়ত ৫০ বা ৫০০০! অর্থাৎ বর্তমানে যেই খাবার খেয়েই আপনি অনেক সুস্বাদু মনে করেন, আরো মৌলিক স্বাদগ্রাহক থাকলে তা হয়তো আরো সুস্বাদু মনে হতো। অথবা হয়তো ওটাকে আর সুস্বাদুই মনে হতো না; ওই খাবারেরই কিছু উপাদানের খারাপ স্বাদের (যেগুলো আগে পেতেন না, তার) সাথে ভালোগুলোর সাংঘর্ষিক অনুভূতির কারণে।
সীমাবদ্ধতা #২: “জানা ইন্দ্রিয়র বাইরে অন্যগুলোর ব্যাপারে জানতেও চাই না, ভাবিও না।”
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহের থেকে ভিন্ন ধরনের ইন্দ্রিয় সম্পর্কে আমরা ভাবতে পারি না।যা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না, তা নিয়ে ভাবা জটিল কাজ। যেমন আমরা ত্রিমাত্রিক (সময়সহ চতুর্মাত্রিক) জগতের জীব বলে এর চেয়ে উপরের মাত্রা কেমন সেই সম্পর্কে ভাবা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের চেয়ে ভিন্ন ইন্দ্রিয়ের ধারণা অন্তত তার চেয়ে সহজ। আর মানুষের চেয়ে ভিন্ন ইন্দ্রিয়তো বর্তমানেই বিভিন্ন জীবে পাওয়া যায়! কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো বাদুড় ও সিটেশানদের (cetacean) শব্দতরঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে গতিপথের বাধার অবস্থান নির্ণয় (echolocation), হাঙ্গর ও শুশুকের (dolphin) বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন শনাক্তকরণ (electroception), মাছ ও কিছু উভচরের পানির প্রবাহ ব্যবস্থা অনুধাবন (current detetction), মৌমাছি ও কাটলফিসের (cuttlefish) পোলারিত আলো শনাক্তকরণের সাহায্যে নিজেদের দিকসজ্জাকরণ (polarized light direction), মাকড়শার বহিঃকাঠামোর কিছু গ্রাহকের মাধ্যমে তার উপর প্রযুক্ত বল ও কম্পনের তথ্য গ্রহণ (slit sense) ইত্যাদি।
সীমাবদ্ধতা #৩: “অন্য কোনো জীবের নির্দিষ্ট কোনো ইন্দ্রিয় মানুষের চেয়েও উন্নত হতে পারে বলে মনে করি না।“
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: আমাদের এই ধারণার মূল কারণ নিজেদেরকে জীবজগতের সেরা জীব মনে করা। আমার একান্তই ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জীব আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যে সেরা হতে পারে (সেটাও আমাদের জানা তথ্যের উন্নয়ন ও কালের সাথে পরিবর্তনশীল); তবে প্রাকৃতিক নির্বাচনে (natural selection) ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সাপেক্ষে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রাধান্য পায়, এবং বিবর্তন একটি এলোমেলো (random) প্রক্রিয়া বলে একটি নির্দিষ্ট জীব একই সাথে সকল বৈশিষ্ট্যে সেরা হতে পারে না। আমাদের চেয়ে উন্নত ইন্দ্রিয়সম্পন্ন প্রাণীও খুঁজলে খুব একটা কম পাওয়া যাবে না। যেমন- গ্রিজলি ভালুক (grizzly bear) সর্বোচ্চ ১৮ মাইল দূরে থেকে ঘ্রাণ নিতে সক্ষম! আবার ম্যান্টিস চিংড়ি (mantis shrimp) দৃশ্যমান আলোর সাথে সাথে পোলারিত আলো, অবলোহিত রশ্মি, ও অতি বেগুনি রশ্মিও দেখতে পায়! অন্যদিকে এক প্রজাতির মথ (the greater wax moth) সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোহার্টজ কম্পাঙ্ক পর্যন্ত তরঙ্গ শুনতে পায়, যেখানে মানুষের সর্বোচ্চ শ্রবণ সীমা ২০ কিলোহার্টজ মাত্র!
সীমাবদ্ধতা #৪: “ভিন্ন জীবে একই ধরনের ইন্দ্রিয়গুলো ভিন্ন অবস্থান থাকতে পারে বলে মনে করি না।“
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: আমরা মনে করি যে অন্য প্রাণীরাও চোখ দিয়ে দেখবে, কান দিয়ে শুনবে, কিংবা জিহ্বা দিয়ে স্বাদ নিবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সুদীর্ঘ সময়কে বিবেচনায় নিলে, কোন ইন্দ্রিয় কোথায় হবে এটাও এলোমেলো পরিব্যপ্তির (random mutation) মাধ্যমে উদ্ভব এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় বলে কোনো নির্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত ইন্দ্রিয়ের সার্বজনীন সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা সুনির্দিষ্ট অবয়ব কোনোটাই থাকা সম্ভব নয়। এই ব্যাপারেও চমকপ্রদ উদাহরণ এখনের পৃথিবীতেই বর্তমান আছে; যেমন- পোকামাকড়েরা (insects) তাদের শুঁড়ে(antenna) অবস্থিত বিশেষ সংবেদী কোষের মাধ্যমে এবং সাপেরা জিহ্বা ও ভোমেরোন্যাসাল অঙ্গের (vomeronasal organ) সমন্বয়ে ঘ্রাণের অনুভূতি নিতে পারে। মাছি ও প্রজাপতিদের স্বাদেন্দ্রিয় রয়েছে তাদের পায়ে, ফলে তারা যেটাতেই বসে সেটারই স্বাদ পায়; আর ক্যাটফিশের তো পুরো ত্বকই স্বাদেন্দ্রিয়ের কাজ করে ফলে পানিতে তাদের আশেপাশে যা কিছুই মিশ্রিত থাকে সেটারই স্বাদ নিতে পারে! আবার ব্রিটল তারামাছের (brittle star) পুরো ত্বকই চোখ হিসেবে কাজ করে! অন্যদিকে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা নাকের মাধ্যমে অবলোহিত রশ্মি দেখতে পায়।
সীমাবদ্ধতা #৫: “একাধিক ইন্দ্রিয় মিলে কখনো সমন্বিতভাবে একটি ইন্দ্রিয়ের মত আচরণ করতে পারে বলে মনে করি না।“
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: সহজ কথায় ব্যাপারটা এমন যে ধরুন আপনি নির্দিষ্ট পরিসরের শব্দ তরঙ্গের শ্রবণানুভূতির সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট স্বাদ অনুভব করলেন, এভাবে কি একাধিক ইন্দ্রিয় সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে না? যেমন- ১০০ থেকে ২৫০ হার্টজ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গের জন্য কমলা লেবুর মত স্বাদ, আবার ২৫১ থেকে ৩৭০ এর জন্য তেঁতুলের মত স্বাদ। আবার এমনো হতে পারে যে স্বাদের সাথে রঙ দর্শনের সমন্বয়কৃত ইন্দ্রিয় ব্যবস্থা; ধরুন মিষ্টি কোনোকিছুর কিছুর স্বাদ নিলে সাথে স্বচ্ছ হলুদ রঙের অনুভূতি, ঝালের জন্য স্বচ্ছ বেগুনী, টকের জন্য স্বচ্ছ নীল ইত্যাদি। মজার বিষয় হলো যে সিন্যাস্থেসিয়া (synesthesia) নামক কেন্দ্রীয় স্নায়ু ব্যবস্থার এক শ্রেণীর ত্রুটির জন্য এই ধরণের অনুভূতির ব্যাপার কিন্তু বর্তমানেই মানুষের মধ্যেই ঘটে! যেমন- শ্রবণের সাথে রঙের সমন্বয় (chromesthesia), শ্রবণের সাথে দেহের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গে স্পর্শের অনুভূতির সমন্বয় (auditory tactile synesthesia), নির্দিষ্ট শব্দ শ্রবণের সাথে নির্দিষ্ট স্বাদের সমন্বয় (Lexical-gustatory synesthesia) ইত্যাদি; এগুলো সবই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ধরণের সিন্যাস্থেসিয়া।
সীমাবদ্ধতা #৬: “নতুন কোনো ধরণের ইন্দ্রিয়ের উদ্ভব সম্ভব বলে মনে করি না।“
এই বিষয়ে আমার ভাবনা: আমরা ভবিষ্যতের নতুন কোনো ইন্দ্রিয় সম্পর্কে খুব একটা না ভাবলেও বাস্তবে সম্ভাবনার নিরিখে তাঁর সংখ্যা কিন্তু অগণিত! কারণ কিন্তু সহজ; দীর্ঘকাল ধরে জিনের সেই এলোমেলো পরিব্যপ্তি ও তার থেকে অসংখ্য প্রকারণের সম্ভাবনা, সাথে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে প্রাকৃতিক নির্বাচন। আমরা ভবিষ্যতের সেইসব ইন্দ্রিয় সম্পর্কে জানতে না পারলেও অগণিত সম্ভাবনা থেকে কিছু নিজের মত কল্পনা করে নিলে ক্ষতি কী? হয়ত একসময় কোনো ইন্দ্রিয় গঠিত হবে, যা দিয়ে আরেকজনের সুখ-দুঃখের অনুভূতি অনুভূত হবে, বা কোনোটি দিয়ে বুঝা যাবে পদার্থের আণবিক গঠন, কোনো ইন্দ্রিয় হয়তো মাপতে পারবে অম্লত্ব/ক্ষারকত্ব, কিংবা কোনোটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কোনো কিছুর উপস্থিতি বর্তমান ইন্দ্রিয়সমূহের পদ্ধতিভিন্ন অন্য কোনো কৌশলে শনাক্ত করতে পারবে। সত্যি কথা হলো আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, সুদূর ভবিষ্যতের ইন্দ্রিয়গুলো কীরকম হবে তার বেশীরভাগই আমাদের চিন্তায় আসবে না, কারণ যা নেই বা যার জ্ঞান নেই তা চিন্তা করা প্রায় অসম্ভব। ভেবে দেখুন তো, এখনো পর্যন্ত স্বাদেন্দ্রিয় বলে কিছু যদি জীবজগতে না থাকত তাহলে কি তার কথা আমরা কল্পনা করতে পারতাম? তারপরও আমাদের সাধ্যমত কল্পনা করতে থাকলেই কল্পনার পরিসর দিন দিন আরো বিস্তৃত হবে।
উপসংহার
আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ধারণাটি নিশ্চয়ই আপনাদের আর আগের মত নেই, সুতরাং প্রচলিত অর্থে এখন থেকে “ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়” শব্দটিও আর ব্যবহার করা উচিত হবে না। যদি অপরিচিত কোনো অনুভূতির জন্য দায়ী ইন্দ্রিয়কে সম্বোধন করতেই হয়, তবে “ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়”র পরিবর্তে “অতীন্দ্রিয়” (extra-sense) শব্দটি ব্যবহার করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর নিজের ভাবনার পরিসরকে দিন দিন আরো বিস্তৃত করতে থাকুন। আইনস্টাইন বলেছিলেন “কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ”; তবে তিনি যৌক্তিক কল্পনার কথাই বলেছিলেন বলেই আমার মনে হয়, হাঁসজারু বা বকচ্ছপের মত যা খুশি কল্পনা করে বিশ্বাস করতে বলেননি নিশ্চয়। আর আমি ইন্দ্রিয় নিয়ে চিন্তার যেসব সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছি তার বাইরে যদি ইন্দ্রিয়ের চিন্তায় ভিন্ন কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা আপনাদের মাথায় আসে, তবে তা উল্লেখ করলে খুশি হবো, সাথে তার বিপরীতে সে বিষয়ে আপনার চিন্তাগুলোও ব্যক্ত করতে পারেন। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক সবাই, অজ্ঞানতার অন্ধকার দূরীভূত হোক।
বিঃ দ্রঃ আলোচনার সুবিধার্থে পুরো সিরিজটিতে “কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র” বলতে কখনো মস্তিষ্ক, কখনো মেরুরজ্জু, আবার কখনো একসাথে দুটোকেই বুঝানো হয়েছে। তবে জেনে রাখা ভালো যে মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু মিলেই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত।
তথ্যসূত্র
১। http://www.todayifoundout.com/index.php/2010/07/humans-have-a-lot-more-than-five-senses/
২। https://en.wikipedia.org/wiki/Sense
৩। https://en.wikipedia.org/wiki/Olfaction
৪। https://en.wikipedia.org/wiki/Mechanoreceptor
৫। https://en.wikipedia.org/wiki/Baroreceptor
৬। https://en.wikipedia.org/wiki/Thermoreceptor
৭। http://www.scientificamerican.com/article/experts-why-we-itch-and-scratch/
৮। https://en.wikipedia.org/wiki/Proprioception
৯। https://courses.washington.edu/conj/bess/spindle/proprioceptors.html
১০। https://en.wikipedia.org/wiki/Equilibrioception
১১। https://en.wikipedia.org/wiki/Chemoreceptor
১২। https://en.wikipedia.org/wiki/Magnetoreception
১৩। http://www.bbc.com/news/science-environment-13809144
১৫। https://www.sciencenews.org/article/how-brain-perceives-time
১৬। https://en.wikipedia.org/wiki/Hunger_(motivational_state)
১৭। https://en.wikipedia.org/wiki/Leptin
১৮। https://en.wikipedia.org/wiki/Ghrelin
১৯। https://en.wikipedia.org/wiki/Adipocyte
২০। https://en.wikipedia.org/wiki/Arcuate_nucleus
২১। https://en.wikipedia.org/wiki/Osmoreceptor
২২। https://en.wikipedia.org/wiki/Thirst
২৩। http://jasn.asnjournals.org/content/18/12/3056.full
২৪। https://en.wikipedia.org/wiki/Urination
২৫। https://en.wikipedia.org/wiki/Defecation
২৬। http://www.cracked.com/article_18837_7-superpowered-animal-senses-you-wont-believe-are-possible.html
২৭। https://en.wikipedia.org/wiki/Mantis_shrimp#Eyes
২৮। https://www.sciencedaily.com/releases/2013/05/130508092830.htm
২৯। https://en.wikipedia.org/wiki/Ophiocoma_wendtii
৩০। https://en.wikipedia.org/wiki/Synesthesia
৩১। Brain Games (S05E07): https://www.youtube.com/watch?v=WCCCG_KrCnM