ম্যান্টিস চিংড়ি (Mantis Shrimp) একটা সাড়ে হারামজাদা। আসুন, আজ এর ব্যাপারে পড়ি। Let’s start and have fun together.
আমাদের চোখে কুটি কুটি আলোক সংবেদনশীল কোষ আছে, যেগুলারে কয় রড এবং কোণ। রড দিয়া আমরা দেখি প্রথম আলু (পড়ুন, শুধু আলো), আর কোণ দিয়া অবলোকন করি ঢাকা শহর আইস্যা আশা পুরানোর মত বাতির ব্যাফুক রঙ-বেরঙ…
কুত্তার কোণ হচ্ছে দুই রকম – সবুজ আর নীল
মানুষের তিন রকম – সবুজ, নীল, আর লাল
প্রজাপতির পাঁচ রকম – সবুজ, নীল, লাল, আর দুইটার জন্য কুনো নাম নাইক্কা। ওদের দৃষ্টিতেই ওগুলা খেলা করে, মানুষের দৃষ্টিতে করে না
আর এই প্রজাপতির চেয়েও বেশি রঙ দেখতে পারে এই সাড়ে হারামজাদা ম্যান্টিস চিংড়ি। দুইটা না, তিনটা না, পাঁচটা না……… গুণে গুণে ১৬ আনা থুক্কু ১৬ খানা আলোক সংবেদনশীল কোণ আছে এই ব্যাটার। আমরা যখন রংধনু দেখি, তখন রঙ এর খেলা দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাই। আর ম্যান্টিস চিংড়ি যখন রংধনু দেখে, সে দেখে রং-এর তৈরি থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা। এজন্যেই হয়তো ব্যাটা নিজেও রঙ এর আড়ত। ছবিতে তো দেখছেনই……
লম্বায় এরা হাফ থেকে পুরা এক ফুট পর্যন্ত হইতে পারে। থাকে কুমকুম গরম পানিতে, বেশি গভীরে যায় না। তার উপ্রে দেখতেও চরম হ্যান্ডসাম। এতো সুন্দর পোলা তো দেবতার মত লক্ষী হওয়ার কথা! কাল হো না হো এর শাহরুখ খান হওয়ার কথা, তাই না?
কিন্তু আসল কাহিনী হইতেসে, পোলার জাত খারাপ!
এর শরীরের সামনে যে দুইটা উপাঙ্গ, সহজ কইর্যা কইলে অস্ত্র, আছে – সেগুলো ২২ ক্যালিবারের রাইফেল থেকে ছুটে যাওয়া বুলেটের মত গতিতে তেড়ে আসতে পারে। এক সেকেণ্ডের তিন হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ে ১৫০০ নিউটন বল নিয়ে শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। নিউটন বেঁচে থাকলে বলের একক হিসেবে নিউটন নামটা ব্যবহার করতে দিতোনা আর এই কাহিনীর পরে। মানুষ যদি এর দশ ভাগের এক ভাগ গতিতে একটা বেসবল আকাশের দিকে ম্যালা (ছুঁড়ে) মারতো, তাইলে ঐ জিনিস হয়ে যাইতো went তো went, এমনভাবে went, আর not come back.
এই পরিমাণ স্পিড লইয়া ছুটিয়া থাকে এই ম্যান্টিস শ্রিম্প, যে আলোচিত স্থানে তাপমাত্রাও বাড়িয়া যায়, এমনকি আলোও বাহির হয়। উক্ত ঘটনার নাম হইলো গিয়া, সনোলুমিনিসেন্স (Sonoluminescence)…… টুকরা টুকরা করিয়া দেয় সে অন্যান্য প্রাণীদিগকে, ভাঙ্গিয়া ফেলে খোলস, যতক্ষণ না তাদের শরীরের আভ্যন্তরীণ জুস বাহির হইয়া আসে।
এদের পেশী এতো শক্ত, যে এখান থেকে যোদ্ধাদের বর্ম বানানোর জন্য পেশীর কোষ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। অ্যাকুরিয়ামেও এদেরকে রাখা যায়না, খাইয়া সাফ কইর্যা ফালায় অন্যদেরকে। তার চেয়ে বড় কথা, অ্যাকুরিয়ামের গ্লাস ভেঙ্গে দুর্বল মানুষের উপ্রে সবলের মত ঝাঁপায়ে পড়তে পারে সে। ওর দিকে তাকায়ে থাকলে তার বড়ই মেজাজ খারাপ হয়, বোধ করি।
এই জিনিস হচ্ছে আইসক্রীমে ডুব দিয়ে থাকা চেঙ্গিস খান, রক্ত দিয়ে রাঙ্গানো রংধনু। একই সাথে উজ্জ্বল, এবং ঘোর তমসা। এবং সর্বোপরি, সুন্দরের একশেষ! তাই, আমরা একে ভালুবাসি!
রেফারেন্স –
ম্যান্টিস শ্রিম্প নিয়ে OATMEAL এর পোস্টের ভাবানুবাদ
Very funny information. 😂😂😂😂😂😂😂😅😅😅😆😆😆😆😆😆😆😆😆😆😆😆❤❤❤♥️♥️♥️♥️