photo credit: The Russian military jet shortly after it was hit by a missile. DAHBOO777/YouTube
তুরস্কের দাবী অনুযায়ী বিমানটি ক্র্যাশ সাইটের ৮ কিলোমিটার দূরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। যদি তাই হয় তবে বিমানটির আদিবেগ থাকার কথা ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার। তুরস্কের অফিশিয়ালরা বলেন তুরস্কের এয়ারস্পেসে ১৭ সেকেন্ড ধরে ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করে। কিন্তু যদি বিমানটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার হয় তবে এই ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে বিমানটির মাত্র ৭ সেকেন্ডের মত লাগার কথা।
আবার বিমানটি যদি এই গতিবেগ নিয়ে চলে তবে ৫ সেকেন্ডে তাদের ৮০ কিলোমিটার ভ্রমণ করার কথা। এই বিস্তৃত পথে জেটটিকে ১০টি ওয়ার্নিং দেয়া বলা যায় প্রায় অসম্ভব। আবার এই ওয়ার্নিংগুলোর সব কটা ৭ সেকেন্ডে ফিট করতে পারে না। সুতরাং তুরস্কের দেয়া হিসাবে একটা বড়সড় গোলমাল দেখা যাচ্ছে।
Image credit: An airstrike on Kobane, a town close to the Syrian-Turkish border. Orlok/Shutterstock
এবার রাশিয়ার কথায় আসা যাক। রাশিয়া বলছে যে এটা তুরস্কের এয়ারস্পেস ভায়োলেট করেনি, কারণ এটা মিসাইল দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু হিসাব করলে দেখা যায় মিসাইল দ্বারা আঘাত পাবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুরতে হলে তাকে আরও কয়েকগুণ বেশি ভারী হতে হতো। তাই ধরে নেয়াই যায় যে, জেটটি তুরস্কের এয়ারস্পেসকে এভয়েড করার চেষ্টা করেনি।
সুতরাং বিজ্ঞান বলছে, তুরস্ক ও রাশিয়া উভয়েই কিছুটা করে মিথ্যা বলছে।
Read more, Belgian Physicist calculated that everyone is lying.