২০শে আগস্ট, ১৬১৯
উত্তর আমেরিকাতে দাসত্ব শুরু হলো এই দিনটিতে, তখন এই অঞ্চলে ব্রিটিশরা কলোনি স্থাপন করেছে। এই মহাদেশটিতে তামাক উৎপাদন করার জন্য আফ্রিকান কিছু মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিলো। কে এনেছিলো, সেটা নিয়ে দু ধরনের তথ্য পেলাম। একটা সূত্র থেকে দেখলাম, ডাচরা নিয়ে এসেছিলো। আবার আরেক সূত্র জানালো, স্প্যানিশ জাহাজে করে ব্রিটিশরাই নিয়ে এসেছিলো। এরা ব্রিটিশ আইনের কোনো অধিকার পেতো না।
১৬৪১ সালে, দাসত্ব আইনগতভাবে বৈধতা পেলো। আফ্রিকানরা হয়ে গেলো একটা পণ্য, কেনা যাবে, বেচা যাবে, মানুষ হিসেবে ওদের আর কোনো পরিচয় রইলো না। দাসদেরকে দিয়ে ব্যবসা এতোটাই লাভজনক হয়ে পড়েছিলো যে, ১৬৬০ সালে আফ্রিকা থেকে আমেরিকাতে দাস নিয়ে আসার জন্য একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়ে গেলো, যার নাম ব্ল্যাক গোল্ড। নামটা দেয়ার কারণ বুঝতেই পারছেন। ১৮৬০ সালে, দশ লক্ষ মানুষকে প্রতি বছর তাদের পরিবার থেকে ছিনিয়ে আনা হচ্ছিলো। কী ভয়ানক ব্যাপার!
এই তো গেলো সাম্প্রতিক ইতিহাস। একটু দূরের কথা চিন্তা করুন, যখন আমরা সন-তারিখের হিসেব রাখতে শিখিনি।
পূর্ব আফ্রিকা, ৩৫ লক্ষ বছর আগের কথা। ওখানে তখনো চার হাত-পায়ে ভর দিয়ে চলা এইপদের বসবাস। প্রাকৃতিক দুর্যোগ (খরার) কারণে এইপদের ঘন বনের আবাস পরিণত হচ্ছে মরুভূমিতে। পরিচিত সেই আবাসস্থল ছেড়ে নতুন কোনো আবাসের উদ্দেশ্যে ওরা যাত্রা শুরু করেছে। এই প্রথম ওরা দু’পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রথম ওদের সামনের দুই হাত পথচলার কাজ থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটাই ক্রমান্বয়ে ওদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতেও প্রভাব রেখেছে। ওখান থেকেই ধীরে ধীরে আমরা মানুষ হয়ে উঠেছি। সেই আফ্রিকান পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আসা বংশধরকে আমরা দাস বানিয়েছি, জাহাজ থেকে নামিয়ে বন্দরে নিলামে তুলেছি, মানুষ পরিচয়টাই কেড়ে নিয়েছি। What an irony!
কিছু ব্যাপার সংক্ষেপিত ও সরলীকৃত করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে ডিটেইলসে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে রইলো। আগ্রহীরা চাইলে মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ফেইসবুক পেইজটাতে পুরো ইতিহাসটা দেখে নিতে পারেন।