Solar and Heliospheric Observatory SOHO টেলিস্কোপের অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্প
ESA – European Space Agency & NASA – National Aeronautics and Space Administration এর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে সূর্য নিয়ে গবেষণার জন্য এই টেলিস্কোপটি উতক্ষেপণ করা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল সূর্যের আভ্যন্তরীণ গঠন ও সৌরবায়ু নিয়ে গবেষণা করা। আমরা সূর্যের যেসব ছবি দেখি তার অধিকাংশই এই টেলিস্কোপের।
এর মেয়াদ ছিল ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত, কিন্তু ব্যাপক সাফল্যের কারণে এর মেয়াদ বহুগুণে বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে এর মিশনের বয়েস দাঁড়িয়েছে ১৯ বছর ৮ মাসে।
সেই সুপ্রাচীনকালের চীনের জ্যোতির্বিদরা ৩৩৮ টি ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছিলেন হ্যালি ও নিউটনের আবিষ্কারের পূর্বে। হ্যালির আবিষ্কারের পরে তিন শতাব্দীতে মানুষ ৯০০ টির মত ধূমকেতু নিউটনের নিয়ম প্রয়োগ করে আবিষ্কার করে।
কিন্তু সোহো টেলিস্কোপ একাই ২৯০০ এর মত ধূমকেতু আবিষ্কার করেছে। এই আগস্টে এটি ৩০০০তম ধূমকেতু আবিষ্কার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দলের ধূমকেতুগুলোর নাম সূর্যাভিমুখী বা Sungrazer (kreutz sungrazer comet) ধূমকেতু।
ধূমকেতু দেখার জন্য এর ক্যামেরায় বিশেষ ডিস্ক ফিল্টার সেট করা আছে যা সূর্যকে সরাসরি আসতে বাধা দেয়। এর মাধ্যমে ধূমকেতুর স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতির নাম coronograph।
এইসব ছবিগুলো ইন্টারনেটে উন্মুক্ত করে দেয়া যা স্বেচ্ছাসেবী জ্যোতির্বিদরা খুঁজে বের করেন।
এছাড়াও কয়েকটি স্বল্পকালীন ধূমকেতুও আবিষ্কার করেছে এটি যেমন 96P Machholz, এটি ৬ বছর পর পর ৪ বার দেখতে পেয়েছে সোহো।
ছবিতে বিখ্যাত ISON ধূমকেতুর শেষ মুহূর্তের ছবি দেখা যাচ্ছে।
Credits: ESA/NASA/SOHO/SDO/GSFC