ক্রিকেটের প্রতি আমার আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকেই। নিজেও টুকটাক ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেট খেলাটার প্রতি আমার অন্যরকম একটা ভালোবাসা আছে তাই ক্রিকেট রিলেটেড প্রায় সবকিছুই আমাকে টানে। গত একশো বছরে মাঠের ক্রিকেটে নিয়মকানুনে খুব বেশী পরিবর্তন না আসলেও খেলাটার প্রচার ও পরিবেশনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনগুলো এসেছে প্রযুক্তির হাত ধরে আর এই পরিবর্তনের সিংহভাগই এসেছে এই শতাব্দীর শুরুতে। নব্বইয়ের দশকে যে বিষয়গুলো প্রায় কল্পনাতীত ছিল, তার মাত্র বিশ বছর পরেই আমাদের কাছে সেগুলো সাধারণের কাতারে নেমে এসেছে। বিশেষত ক্রিকেটের ব্যাপকভাবে বানিজ্যিকিকরণ এই প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করেছে।বর্তমানে ক্রিকেট প্রায় দেড়শো কোটি মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।যখন আমি নব্বইয়ের দশকের ক্লাসিক ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখি তখন মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি বর্তমানের প্রযুক্তিগুলো নব্বইয়ের দশকেই সহজলভ্য হত, আর টি- টুয়েন্টির মত কিছুটা কম সময় খরুচে ফর্ম্যাটের খেলা চালু থাকতো, তাহলে নিঃসন্দেহে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার দিক থেকে ফুটবলের বড় একটা প্রতিদ্বন্দী হয়ে দাঁড়াতো।তবে এটা স্বীকার আপনাকে করতেই হবে যে প্রযুক্তির ব্যাবহারের দিক থেকে ক্রিকেট ফুটবলের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে।এই প্রযুক্তিগুলোও কিন্তু কম বৈচিত্রময় নয়। বিশেষত এই প্রযুক্তিগুলোর পেছনের বিজ্ঞান বা কলাকৌশলগুলোও আমার মনে বিস্ময়ের জন্ম দেয়।
প্রথমেই আসি বোলারদের বলের গতি নির্ণয়ের ব্যাপারটায়। বর্তমানে এই প্রযুক্তি বেশ সহজলভ্য।এটা অনেকটা সড়কে মহাসড়কে গাড়ীর গতি মাপার মতই। এই প্রযুক্তির পেছনের বিজ্ঞানটা কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়। ১৯৯৯ সালে প্রথম বোলারদের বলের গতি মাপার জন্য স্পীড গান নামের একটা যন্ত্রের ব্যাবহার শুরু হয়েছিল।প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন যে যন্ত্রটি ব্যাবহার করা হয় তার নাম রাডার গান। এই যন্ত্রে একটা ট্রান্সমিটার এবং একটা রিসিভার থাকে। যখন কোন বোলার বল করে তখন এই রাডার গান থেকে রেডিও ওয়েভ বাতাসে নিক্ষিপ্ত হয় ট্রান্সমিটার দ্বারা। ওই রেডিও ওয়েভ বোলারের হাত থেকে ছোড়া বল দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং প্রতিধ্বনির বা ইকো তৈরি হয়।এই প্রতিধ্বনি রাডার গানের রিসিভার রিসিভ করে এবং ডপলার শিফটের মূলনীতি অনুযায়ী বলের গতিবেগ হিসাব করে। ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম বলটির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৬৩ কিলোমিটারের একটু বেশি বা ১০০ মাইল। বোলার ছিলেন শোয়েব আখতার। তিনি ২০০৩ এর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই বলটি করেন।
তবে রাডার গানে নির্ণয় করা বলের গতি একেবারেই নিখুঁত তা বলা যাবে না, দেখা গেছে বল পিচে ড্রপ করে ব্যাটসম্যান অবধি পৌছাতে পৌছাতে এর গতিতে বেশ খানিকটা পরিবর্তন আসে।
এরপর আসা যাক হক আইয়ের(HAWK EYE) ব্যাপারটায়। নিঃসন্দেহে ক্রিকেটই হক আইকে সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করছে। কিন্তু হক আই টেকনোলজির জন্ম কিন্তু ক্রিকেটের জন্য হয়নি। হক আই (Hawk eye) টেকনোলজি প্রথম প্রথম ব্যাবহৃত হত ব্রেইন সার্জারীতে আর ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইলের গতিপথ নির্ধারণের জন্য। এই প্রযুক্তির আবিষ্কারের কৃতিত্ব ড. পল হকিন্স নামের এক অস্ট্রেলিয়া বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিদ। তিনি একজন ক্রিকেটারও ছিলেন। ডারহাম ইউনিভার্সিটির ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে ইনি একজন ছিলেন।
হক আই ক্রিকেটের মাঠে পা রেখেছে ২০০১ সালের দিকে। হক আই প্রযুক্তির কাজ হল বলের গতিপথ বা trajectory নির্ধারণ করা। এটা একটা ফোর ডাইমেনশনাল প্রযুক্তি বা 4D Technology. আমাদের দৃশ্যমান ত্রিমাত্রিক (3D) জগতে যে যে মাত্রাগুলো বা ডাইমেনশনগুলো আছে সেগুলো হল দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা। তবে হক আইতে অতিরিক্ত আরেকটি মাত্রা বা ডাইমেনশন দরকার হয়, আর সেটি হল সময় বা টাইম। অনেকটা স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে একটি রোডে চলন্ত গাড়ি যেভাবে শনাক্ত করে সেরকমটি।
হক আই টেকনোলজির প্রাণ হল এর হাই স্পীড ভিশন ক্যামেরা গুলো। হক আই প্রযুক্তি চলার জন্য দুটি ব্রডকাস্টার ক্যামেরার পাশাপাশি ছয়টি হাইস্পিড ভিশন ক্যামেরার ব্যাবহার করা হয়। ছয়টি ভিন্ন পজিশনে (লং অফ, লং অন, ডিপ পয়েন্ট, ডিপ ফাইন লেগ, ডিপ থার্ড ম্যান, ডিপ স্কোয়ার লেগ) মাঠ থেকে অপেক্ষাকৃত উচুঁ স্থানে ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়।
এই ক্যামেরাগুলো সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেম গতিতে ভিডিও রেকর্ড করতে থাকে, সাধারণ টিভি ক্যামেরাতে যা মাত্র ত্রিশ ফ্রেম পার সেকেন্ড।এই ক্যামেরাগুলো অনবরত ভিডিও ধারণ করতে থাকে (বোলারের হাত থেকে রিলিজের পর থেকে বলের গতি ডেড হওয়া পর্যন্ত) একবার যখন কোন বলের ট্রাজেক্টরি বা গতিপথ ট্র্যাক করা যায় তখন যেকোন মুহুর্তে বলের অবস্থান বের করা যায়।
ধরুন কোন বলের এলবিডাব্লিউ ডিসিশানের জন্য রিভিউ চাওয়া হয়েছে। তখন ছয়টি ক্যামেরা থেকে ওই বল হওয়ার সময়কার ভিডিও সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কম্পিউটারে পাঠানো হয় ভিডিও প্রসেসিংয়ের জন্য। একটা বিশেষায়িত সফটওয়্যার ওই ভিডিওগুলো থেকে একটা অ্যানিমেটেড প্রজেক্ট তৈরি করে যা প্রথমে বলের গতিপথ নির্দেশ করে এবং বাধাগ্রস্ত না হলে সেটা কোন পথে যেত সেটা নির্দেশ করবে।
হক আই প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে। এই প্রযুক্তি আসার পর ক্রিকেটের সরাসরি সম্প্রচারের সময় অনেক নতুন নতুন ফিচার যোগ করা গেছে যেমন সুপার স্লোমো, ওয়াগন হুইল, বোলিং লেংথ,বোলারদের পেইস ভ্যারিয়েশন, সিক্স বা ফোর মারার পর বলের গতিপথ বা বলটা কতদূর যাচ্ছে, বোলারেরা বল কোন লেন্থে বেশি করছে বা বল পিচিং এরিয়াস ইত্যাদি। এতে ক্রিকেট খেলা দেখায় বাড়তি বিনোদনের ব্যাবস্থা হয়েছে। দর্শকদের এখন কোন খেলোয়াড় কেমন সৃজনশীল সেটা জানার সুযোগ মিলছে।অবশ্য এই প্রযুক্তি আসার পর ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষদলকে নিয়ে আরো গবেষণার সুযোগ হয়েছে বলেই আমার ধারণা। সব দলেই এখন একজন কম্পিউটার এনালিস্ট বা ভিডিও এনালিস্ট টাইপের একজন থাকেই।তবে এই প্রযুক্তির বড় দুর্বলতা হল পিচের ময়েশ্চার বা আদ্রতা বা স্পিনিং পিচে অতিরিক্ত স্পিন ধরতে না পারা । সে বলের যে গতিপথ দেখায় তা মূলত ক্রিকেটের আদর্শ পরিবেশের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু আমরা জানি মেঘলা আবহাওয়ায় প্রায়ই পেসাররা বলে অতিরিক্ত স্যুইং পায় কিংবা বলে বিচিত্র মুভমেন্ট লক্ষ করা যায় ঝড়ো বাতাসের কারণে আবার যারা নিয়মিত ক্রিকেট দেখেন তারা জানেন যে স্পিনিং ট্র্যাকে বিশেষত টেস্ট খেলার চতুর্থ পঞ্চম দিনে অসমান বাউন্স দেখা দেয়। এসমস্ত ক্ষেত্রে হক আই পরিপূর্ণভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে।
শুধু ক্রিকেটে না ফুটবলে আর টেনিসে এই প্রযুক্তির ব্যবহার আছে। ক্রিকেটের চেয়ে এসব খেলায় প্রায় দ্বিগুণ ক্যামেরা লাগে। কারণ এখানে এন্ড বা প্রান্ত দুটি। এসব খেলায় মুলত অবস্থান জানতেই হক আই ব্যবহার করা হয়। ফুটবলে হক আইয়ের অন্য নাম গোললাইন টেকনোলজি।
আরেকটা প্রভাবশালী প্রযুক্তি হল হটস্পট। হটস্পট জিনিসটা আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত ব্যবহার না হলেও বলা চলে এখন বেশ কমন একটা প্রযুক্তি। আবার সবচেয়ে ব্যায়বহুল প্রযুক্তিও বলতে পারেন। হটস্পট মূলত এসেছে স্নিকোমিটাররের পরিপূরক হয়ে, স্নিকোমিটার ব্যাবহারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে হটস্পট প্রযুক্তি। আপনার যদি পদার্থবিদ্যায় ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনার ওসিলোস্কোপ নামের যন্ত্রটির নাম শোনার কথা। এটির মূল কাজ হলো বিভিন্নরকম ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের গঠনপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে একটা গ্রাফিকাল শেপ দেখানো। স্নিকোমিটার ব্যাবহারের জন্য একটা হাইলি সেনসিটিভ মাইক্রোফোন লাগে যেটা স্ট্যাম্পের মধ্যে বা গোড়ায় লাগানো থাকে। এই মাইক্রোফোন যুক্ত থাকে ওসিলোস্কোপের সাথে। এই মাইক্রোফোন তার গৃহিত শব্দতরংগকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপ দেয় এবং ওসিলোস্কোপে পাঠায়। তখন ওসিলোস্কোপ সিগন্যালটাকে গ্রাফের মাধ্যমে প্রকাশ করে। খেলা শুরু হবার সাথে সাথে ওসিলোস্কোপ চালানো হয় এবং, বল বাই বল রেকর্ড করা হয়।
এই গ্রাফের শেপটা হয় বিভিন্ন শব্দের জন্য বিভিন্নরকম।আমরা অবশ্য যে বলে আপিল হয় সেইটাই দেখি। ধরুন বল যদি প্যাডে লাগে তাহলে শব্দ বেশি হবে এবং ওসিলোস্কোপ যে সিগন্যালটা বা গ্রাফটা দেখাবে সেটা অনেকটা ফ্ল্যাট বা চ্যাপটা ধরনের হবে। আর যদি ব্যাটের সুক্ষ কিনারা ছুঁয়ে যায় তাহলে খুব চিকন বা শার্প একটা শেপের গ্রাফ দেখা যাবে। এই পদ্ধতির সমস্যা হল, এটা খুব বেশি শব্দ ধরতে পারে না, আর একইসাথে বল ব্যাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময়ে যদি হেলমেট বা গ্লাভস নড়ে উঠে তাহলে কনফিউজিং রেজাল্ট আসে এজন্য স্নিকোমিটার কখনোই নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি ছিল না।
আর এজন্যই ক্রিকেটের আংগিনায় পা রেখেছে হটস্পট প্রযুক্তি। আগে এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হতো সেনাবাহিনীতে ট্যাঙ্ক এবং জেট ফাইটারের অবস্থান নির্দেশ করার জন্য। এই প্রযুক্তির আবিষ্কারক ফরাসি বিজ্ঞানী নিকোলাস বিয়ন। অস্ট্রেলিয়ার বিবিজি (B. B. G) স্পোর্টস সর্বপ্রথম টিভিতে ব্যাবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলে, পরে নাইন নেটওয়ার্ক এর স্বত্ব কিনে নেয়। এই বিবিজি স্পোর্টসই স্নিকোমিটারও প্রথম প্রবর্তন করে টিভির জন্য। ক্রিকেটের মাঠে হটস্পট প্রথম প্রবেশ করে ২০০৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার গ্যাবাতে। ২০০৯ সাল থেকে আইসিসি পরীক্ষামূলকভাবে টিভি আম্পায়ারকে হটস্পট ব্যাবহারের অনুমতি দেয় এবং পরে রেফারেল সিস্টেমে এর শর্তসাপেক্ষ ব্যাবহার অনুমোদন করে।
হটস্পট সিস্টেমে যে ক্যামেরাগুলো লাগে সেগুলো হলো থার্মাল ক্যামেরা বা ইনফ্রারেড ক্যামেরা। এইক্যামেরাগুলো মাঠের যেকোন দুই পাশে বসানো হয়।এই ক্যামেরাগুলো অবিরত ছবি ধারন করতে থাকে আর আমরা শুধু আপিল করা বলটাই দেখি। আমরা জানি ঘর্ষণের ফলে তাপের উদ্ভব ঘটে,তা ঘর্ষণ যতই ছোট হোক না কেন। সেই তাপটা একটা নির্ধারিত তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিকিরিত হয়। সেই তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে অনেক কম তাই তা সাধারণ টিভি ক্যামেরা দিয়ে দেখা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে ইনফ্রারেড বা থার্মাল ক্যামেরা উপযোগী কারন তারা ওই বিকিরিত তাপের অংশটাকে দেখাতে পারে। বল যখন ব্যাট বা প্যাডে আঘাত করে তখন তাপের উদ্ভব হয়। আর ক্যামেরায় সেই তাপ সৃষ্টির অংশটাই সাদা হয়ে দেখা যায় থার্মাল বা ইনফ্রারেড ক্যামেরার মাধ্যমে। এই পদ্ধতি প্রায় শতভাগ নিখুঁত যদি না ব্যাটে ভেসলিন বা লুব্রিকেন্ট (পিচ্ছিলকারক) কিংবা সিলিকন টেপ জাতীয় কিছু ব্যবহার না করা হয়।
বলা হয় রাজার খেলা ক্রিকেট।এই কথাটার বাস্তব উদাহারণ হল হটস্পট প্রযুক্তি।চার ক্যামেরার হটস্পট প্যাকেজের প্রতিদিনের খরচ প্রায় ১০,০০০ ডলার। আর দুই ক্যামেরার খরচ ৬,০০০ ডলার।এজন্যই হয়ত আমাদের দেশে সহসা এটার আসার সম্ভাবনা নেই। অবশ্য খরচ কমানোর গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে আমরাও হয়ত এর সুফল পাবো। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় রইলাম।
আমি আগ্রহে অপেক্ষা করছি সামনে আর কী প্রযুক্তি আসে ক্রিকেটে, তবে যে প্রযুক্তিই আসুক না কেন, সত্যি বলতে কি, খেলা দেখার আসল মজাটা মাঠেই। প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটিয়ে চিৎকার করার মজা কিংবা পঁচিশ-তিরিশ হাজার মানুষের সাথে একত্রে মেক্সিকান ওয়েভে অংশ নেবার আনন্দ আর যাই হোক টিভিতে নেই। মাঠে হয়ত ভালোকরে রিপ্লে দেখারও সুযোগ নেই, কিন্তু হাজারো মানুষের গগনভেদী উল্লাসে কিংবা প্রিয় খেলোয়াড়টাকে নিজের চোখে দেখার আনন্দের মাঝে সেই ছোট্ট না পাওয়ার কষ্টকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবার মত ফুরসৎ কোথায় থাকে বলুন?
খেলার বিতর + & – পয়েন্ট কি করে হিসাব হরা হয়?
ক্রিকেট খেলা সম্প্রচার করার ক্যামেরা কি আইসিসি থেকে আনতে হয় নাকি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা দিয়ে খেলা সম্প্রচার করে ?