ব্যাপারটা একটু স্বস্তিজনক যে, আজকের পৃথিবীতে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ৫৮ থেকে ৬০ কোটি বছর আগে, এই টাইটানিক অজগর (প্রজাতি: Titanoboa cerrejonensis) দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে বসতি গড়েছিলো। পেলিওসিন যুগে তারা প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর ধরে বিস্তার করেছিলো।
২০০৯ সালে, একটি উন্মুক্ত কয়লা খনিতে Cerrejón নামক দৈত্য জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিলো। গবেষকরা ধারণা করছেন যে সবচেয়ে বড় Titanoboas দৈর্ঘ্যে ১৩ মিটার (৪২.৬ ফুট)-এর সামান্য নিচে এবং ওজনে প্রায় ১১00 কেজি (২৪২৫.0৮৫ পাউণ্ড) ছিলো। এই বিকট প্রাণীর স্ফীত গঠন এটাই বোঝাচ্ছে যে, সে একটা সম্পূর্ণ কুমির একেবারে অনায়াসেই গিলতে পারতো। Titanoboa আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত, ১০ মিটার লম্বা gigantophis কেই সবচেয়ে বড় সাপ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
Smithsonian Tropical Research Institute এর ডঃ কার্লোস Jaramillo এবং গবেষণা দলের আরেক সদস্য বলেছেন যে, এখনকার সবচেয়ে বড় সাপও আকারে Titanoboa এর অর্ধেক। এরকম আকার সত্ত্বেও, এর কঙ্কাল বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে, এটা anaconda এর চেয়ে boa constrictor এর সাথে বেশি সম্পর্কযুক্ত। এই সাপ বিষাক্ত ছিলো না। বরং, অবিশ্বাস্য শক্তি দিয়ে এটা তার শিকারকে চূর্ণ করতো। অনেকেই বলেন যে, ১৯০২ সালে টি-রেক্স এর আবিষ্কারের পরে Titanoboa এর আবিষ্কারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ধারণা করা হয় যে Carbonemys (একজাতের দৈত্যাকার snapping কচ্ছপ), Titanoboas এর সাথে হিসাবে একই এলাকায় বসবাস করতো। বিজ্ঞানীরা এও মনে করেন যে, এই দুই প্রাণী প্রায়ই মহাকাব্যিক দ্বন্দ্ব যুদ্ধের সম্মুখীন হতো। আজ, আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) এটার সত্যিকারের আকারের একটি প্রতিরুপ দেখে নিতে পারেন।
এখনকার আলজেরিয়া ও মিশরে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে Gigantophis এর অস্তিত্ব ছিলো। তাদের প্রধান খাদ্য ছিলো proboscideans (হাতির পূর্বপুরুষ, আকার বেশ ছোটো) গোষ্ঠীর। বিজ্ঞানীরা একেই সব সাপের রাজা হিসেবে মনে করতেন।
References:
Original article – Renesh T, The Earth Story
অনুবাদ – ফারহানা বৃষ্টি, ফরহাদ হোসেন মাসুম
Image credit: Ryan Quick from Greenbelt, MD, USA.
আরো পড়ুন – 1, 2, 3, 4.