রাস্তায় ফলের রস খেয়ে কি এইডস হবে? অবশ্যই না। যারা মাইক্রোবায়োলজি বা ভাইরোলজি নিয়ে পড়েছেন তারা নিশ্চিত ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ভাবছেন এটা কোনো লিখার বিষয়বস্তু হলো? দু:খের সাথে জানাতে হচ্ছে, এটা নিয়ে লিখতে হচ্ছে। যেহেতু আমরা যুক্তির চাইতে উদ্ভট খবর এবং ভুয়া খবরে বেশি বিশ্বাসী, তাই ফেসবুকে অনলাইন ভুয়া নিউজ পোর্টালের প্রসার দিন দিন বাড়ছেই। এর সাথে চলেছে ভুয়া বা নকল ফেসবুক আইডি এর দৌরাত্ম্য। আতঙ্কের বিষয় হলো, লেখাপড়া জানা মানুষজন সেগুলো যাচাই বাছাই না করে এবং অনেক সময় শুধু শিরোনাম দেখেই শেয়ার দিচ্ছে। এই লেখায় যুক্তির আলোকে প্রশ্নটির উত্তরের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো এবং জনসাধারণের বোধগম্য উপযোগী হবে আশা করি।
প্রথমে আসি, কিভাবে আমি এ খবরটি পেলাম? আমার ফেসবুক বন্ধু একটি পেজের এই খবর প্রকাশ করে, আমি পেজের কমেন্টে গিয়ে অন্য সবার সাথে খবরটির প্রতিবাদ করি এবং কয়েকদিন পর দেখি সেটি মুছে দেয়া হয়েছে। আমি ভাবলাম, হয়তো ভুল ধরতে পেরেছে। সম্প্রতি আবার দেখি সেই একই খবর, অন্য একটি নকল আইডি থেকে ছড়ানো হচ্ছে।
বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজারের উপরে শেয়ার (স্ক্রিনশট নেয়ার সময় প্রায় সাড়ে এগারো হাজার শেয়ার ছিলো। ছবি ১, লাল আয়তাকার চিহ্নিত, নিচে) আমার প্রথম প্যারার সার্থকতা প্রমাণ করলো। অসম্ভব কিছুই না, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা নিজেদের সার্থ উদ্ধারের জন্য যদি নকল নিউজ পোর্টালের খবর নিয়মিত শেয়ার করে, তবে অজ্ঞ ফেবুবাসীকে দোষ দিই কি করে?
পোষ্টটির সারাংশ হচ্ছে, ১০ বছরের একটি ছেলে ১৫ দিন আগে বাইরে থেকে আনারস খেয়ে অসুস্হ হয়ে পড়ে, ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখতে পায় তার এইডস(!?) হয়েছে এবং ডাক্তার এইডস(!?) হবার কারণ খুঁজতে গিয়ে বের করে, আঙ্গুল কাটা এক এইডসরোগী ফলবিক্রেতার আঙ্গুল থেকে রক্ত মিষে আনারসের সাথে লাগছে আর সেটা খেয়েই এইডস(!?) হয়েছে। {মূল ঘটনা পড়তে চাইলে লিঙ্ক বা ছবি দেখুন} পুরো ঘটনাটি গাঁজাখুরী। কারণগুলো বলছি –
সাধারণ চিকিৎসাভিত্তিক বিশ্লেষণ:
১. পনেরদিন আগে আনারস খেয়ে অসুস্হতা কি ছিলো? পেট খারাপ? পেট খারাপ কি এইডস এর লক্ষণ?
২. পনেরদিনে কিভাবে এইডস হয়? এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত করতে অন্তত দুই বা তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। এইডস এবং এইচআইভি পজিটিভ এক না। এইডস অনেক পরের ধাপ।
৩. শরীরে এইডস ধরার কোনো উপায় নাই। বরং এইচ আই ভি পজিটিভ ধরা যেতে পারে। তর্ক করতে পারে যেহেতু এইচআইভি পজিটিভ হলে, ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী হয় তাই ডাক্তার ডায়াগনোজ করেছে এইডস। সম্পূর্ণ ভুল। ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী যদিও ১০ বছরের বাচ্চার হয়ডাক্তার প্রথমে পিআইডি(প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী) কিনা চেক করবে, তা না হলে জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিনা বুঝার চেষ্টা করবে।
৪. পুরো পরিবারকে পরীক্ষা করার পর ডাক্তার কেন তাকে কি খেয়েছে সেটা জিজ্ঞাসা করলো? এইচআইভি এর সাথে খাবারে সম্পর্ক কি? যদি ডাক্তার আসল কারণ জানতে চাইতো তাহলে জিজ্ঞাসা করতো
ক. কেউ ছেলেটির সাথে জোর-পূর্বক যৌন-সঙ্গম করেছে কিনা?
খ. কোনো ইনজেকশন বা রক্ত নিয়েছে কিনা?
গ. কোনো সুঁচ বা রক্তমাখা কোন কিছু শরীরে বিঁধে ছিলো কিনা?
৫. পনের দিন আগে কি খেয়েছিলো তা ছেলেটির মনে আছে? বাহ বাহ! আপনি নিজের ৩ দিন আগে কি বাইরে কলা না বিস্কুট খেয়েছিলেন মনে করার চেষ্টা করুন এবং সাথে আরেকটি ব্যাপার যোগ করুন আপনার বয়স ১০ বছর। ঐ সময়ে আপনি কি খেলেন বা না খেলেন সেটা নিয়ে কতটা মনযোগী ছিলেন? বরং পনেরদিন আগে বিকেলে ক্রিকেটে কে আগে ব্যাটিং পেয়েছে সেটা মনে রাখার কথা! তাও ধরে নিলাম ছেলেটি মনে রেখেছে, যেহেতু তার ঐদিন থেকে অসুস্হ।
৬. পনেরদিন ধরে কিসের অসুস্হতা সেটা উল্লেখ করা হয়নি। কোন কিছু খেয়ে যদি অসুস্হতা হয়, তবে সেটা ধরে নেয়া যায় পেট ব্যাথা বা খারাপ সংক্রান্ত। ধরে নিলাম, যে কোন অসুস্হতা; তাহলে বাবা মা কেন এতদিন ডাক্তার দেখায়নি? ধরে নিলাম, গরীব। কোনো কিছু খেয়ে অসুস্হ হলে কেন এইচআইভি টেস্ট করা হবে? এইচ আই ভি টেস্ট ব্যায়বহুল।
৭. “ সাথে সাথে হাসপাতাল থেকে এক দল চিকিৎসক গেল সেই আনারস বিক্রেতার কাছে ”- একজন চিকিৎসক গেলে তাও কষ্টে বিশ্বাসযোগ্য ছিলো। এক দল চিকিৎসক!? আপনার মেডিকেল পড়ুয়া বন্ধুকে এই কথা বলে দেখুন, মাথায় গাট্টা খাবেন। ডাক্তাররা হাসপাতালে রোগীদের দেখে কুল পায় না, তারউপরে ইমারজেন্সীতে কখন কি অবস্হায় কে আসে , সেসব রেখে এতগুলা ডাক্তার রাস্তায় চলে আসবে। একদিন এক ঘন্টা ডাক্তাররা ধর্মঘট করলে ফেসবুকে আগুন জ্বলে, কমেন্টে লোকজনের রাগ ঝাড়ে ‘মানুষকে মৃত্যুর মুখে রেখে কিভাবে আপনার হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।’ আর পোষ্টে বলছে এক দল চিকিৎসক!
৮. “ এবং তারা সেই আনারস বিক্রেতার হাতে ক্ষতস্থান খুজে পেল, যেখান থেকে রক্ত বের হয় আনারসের সাথে মিশতেছিল। ”– হেহ!! ১৫ দিন ধরে রক্ত পড়তেছে। কিন্তু এখনো সে সুস্থসবল, হয় সে সুপারম্যান অথবা তার হিমোফিলিয়া (রক্ত জমাট না বাঁধার রোগ)। আর ঐ বেটা কয় গ্যালন রক্ত নিয়ে ঘুরে, ১৫ দিনেও শেষ হয় না।
ভাইরোলজিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ:
১. এইচ আই ভি পজিটিভ আর এইডস এক নয়। এইচ আই ভি হচ্ছে ভাইরাস যার কারণে এইচ আই ভি হয়। কিন্তু আপনি এইচ আই ভি আক্রান্ত হলেই সাথে সাথে এইডস আক্রান্ত হবেন না। এইডস হতে সময় লাগে। ১০ বছরের বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত ভালো হবার কথা। তা না হলেও এইচ আই ভি থেকে এত দ্রুত এইডস হওয়া বিরলতমদের মধ্যে বিরলতম। ধরে নিলাম, পোষ্টকারী এইডস শব্দটি ভুল ব্যবহার করেছে।
২. এইচ আই ভি টেস্ট এর জন্য উইন্ডো পিরিয়ড হচ্ছে অন্তত ৪ সপ্তাহ (এন্টিবডি), ৯-১৪ দিন(আর এন এ)। উইন্ডোপিরিয়ড মানে হচ্ছে এইচ আই ভি আক্রান্ত হবার কয়দিন পর আপনি পরীক্ষা করে জানতে পারবেন আপনি এইচ আই ভি পজিটিভ কিনা। যদিও আর এন এ টেস্ট এর মাধ্যমে দ্রুত জানতে পারবেন কিন্তু এটি অত্যন্ত ব্যয় বহুল এবং ভুল রেজাল্ট পাবার সম্ভাবনা অনেক। যতদূর জানি বাংলাদেশে এইচ আই ভি টেস্টিং এর জন্য এন্টিবডি টেস্ট করা হয়। (ডাক্তার বা যারা কেউ জানেন একটু জানাবেন প্লিজ।) তাও ধরে নিলাম, ছেলেটির বাবা মা ঐ ব্যয়বহুল টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারলো। কিন্তু কথা হলো, ১৫ দিনের অসুখে কেন ডাক্তার ঐ ব্যয়বহুল টেস্ট করতে বলবেন।
৩. ধরে নিলাম, বিক্রেতা একজন এইডস রোগী। আইসিডিআরবি এর বিজ্ঞানী তাসনিম আজিম এর ২০০৮ এর এক গবেষণায় তিনি যে সমীক্ষা দিয়েছিলেন তাতে তিনি ২০০৭ এর প্রায় ৭৫০০ এইচ আইভি পজিটিভ থাকার সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। অনেকেই যে, এইচ আই ভি নিয়ে অজ্ঞ বা উদাসীন সেটাও বলেছিলেন, এমনকি এইচ আই ভি পজিটিভ জানা সত্ত্বেও অনেকে কনডম ছাড়া স্ত্রী/স্বামী/হিজরা/যৌনকর্মী/পুরুষ এর সাথে যৌনমিলন করে বলেছিলেন এবং নেশাখোররা একই ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন।
লিংক: (
NCBI} তাই ধরে নিলাম বিক্রেতা তাদেরই একজন। এখন কথা হলো, তার রক্তে এইচ আই ভি ভাইরাস যদি থেকেও থাকে সেটা কি এভাবে ছড়াতে পারে?
যুক্তি:
ক. এইচ আই ভি হচ্ছে এনভেলপড ভাইরাস(খোলসযুক্ত ভাইরাস)। এই ধরনের ভাইরাস কোষ বা দেহের বাইরে বেশিক্ষণ সক্রিয় থাকে না। অম্লত্ব(এসিডিটি)/ক্ষারত্ব/শুষ্কতা/তাপ এর প্রতি এরা প্রচন্ড রকম সংবেদী।
খ. ধরে নিলাম, ঐ বিক্রেতার রক্তের এইচ আই ভি কোনোভাবে ফলের রসে মিশে যাচ্ছে। আনারস কিন্তু ক্ষারধর্মী (এটা খেলে শরীরের পিএইচ(অম্ল-ক্ষার অবস্হা) ক্ষারত্বের দিকে যাবে)। এইচ আই ভি দেহের বাইরে মিনিটের মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তবে যদি রক্ত থাকা সিরিঞ্জ, রেজর-ব্লেড ইত্যাদিতে বেশিক্ষণ থাকতে পারে (কারণ তাপমাত্রা এবং রক্তের অবস্হা)। যেহেতু বলা হয়েছে, বিক্রেতার রক্ত ফলের রসে মিশে যাচ্ছে, তাই ধরে নিলাম তখনো এইচ আই ভি সক্রিয় ছিলো। এখন যেহেতু ফলের রস ক্ষারধর্মী সেহেতু এইচ আই ভি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবার কথা।
গ. তাও ধরে নিলাম, ছেলেটি মিনিটের মধ্যে খেয়ে ফেললো। এখন, ছেলেটি খাবার পর তার পাকস্থলীতে যাবার পর এইচ আই ভি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবার কথা, কারণ পাকস্হলীতে অম্লত্ব বা এসিডিটি অনেক বেশি।
ঘ. যদি ছেলেটির ইন্টার্নাল ইনজুরি অর্থাৎ মুখে ক্ষত থাকে তবে হয়তো আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ঐ ব্যক্তির আঙ্গুল থেকে রক্ত ফলের রসের সাথে মিশে ডাইলুট বা মাত্রা কমে, তারপর ফলের ৯৯% পাকস্হলীতে যাবে। এতগুলো সম্ভাবনা ধরলেও যে পরিমাণ ভাইরাস এত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কোন ভাবে ঐ ছেলের রক্তে যাবে, সেটা ছেলের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা দিয়ে দূর করার কথা।
৪. সব যুক্তি মেনে নিলাম, ছেলেটির এইডস(!) হলো ফলের রস খেয়ে, এটা বিশাল একটা ব্যাপার, সেটা অবশ্যই সায়েন্টিক জার্নাল এ অবশ্যই আসার কথা। দু:খিত আমি নিজে কোন সায়েন্টিক জার্নাল এইরকম খবর আসতে দেখিনাই। লালা দিয়ে এইচ আই ভি সংক্রামণ অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। এবং কোন প্রসিদ্ধ পত্রিকার কোন খবরই দেখি নাই। (যদি নির্ভরযোগ্য নিউজপেপার এর লিঙ্ক থাকে দয়া করে নিবেন। রেডিওমুন্না টাইপের পেজের কোন নিউজ দিয় নিজেকে ইন্টারনেট ছাগল প্রমাণ করবেন না প্লিজ। )
পোষ্টের সারাংশ বা মূলকথা হচ্ছে বাইরের খাবার নিরাপদ না। আপনি বলবেন, ঐটার জন্য এইরকম মিথ্যা বলা খারাপ কি? (আমাদের সমাজে যেখানে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য মিথ্যা বলতে হয়ে সেখানে এইরকম উত্তর সম্ভাবী) কথা হলো, আপনার টাকা সরকার যদি উন্নয়নখাতে ব্যবহার করার জন্য বলে, টাকার মাধ্যমে রোগ ছড়ায়, আপনি কি বিশ্বাস করবেন? অবশ্যই না। ঠিক? কিন্তু আসলেই টাকার মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে (জ্বি না, এইডস না। -_- )
শেষে, আমাদের শিক্ষিত ফেসবুক সমাজের জ্ঞানের পরিধির নমুনা হিসেবে ঐ পোষ্টের কয়েকটা শেয়ারের স্ক্রীনশট ছিলাম, জ্বি নাম দেখিয়েই দিলাম, যেন ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন। এদের সংখ্যা অনেক। ভুল ধরিয়ে দিলেও জনসচেতনার কথা বলে মিথ্যা প্রচারের অজুহাতও এরা দেখায় (আমাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা)।
অবশ্যই বাইরের খাবার স্বাস্হ্যসম্মত নয়। বাইরের খাবার খেলে রোগ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আসল রোগের কথা বলুন, যেমন টাইফয়েড, কলেরা, নরোভাইরাস ইনফেকশন, হেপাটাইটিস এ এবং ই ইত্যাদি। এইচ আইভি নিয়ে ফালতু কথা বলে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি হবে। আমাদের সমাজে এইচ আই ভি আক্রান্তদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। আপনার এই ভুল সংবাদ বড় বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। এইজন এইডস আক্রান্ত মানুষ সাধারণ সেবা থেকে আরো বেশি বঞ্চিত হতে পারে, আরো বেশি ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠতে পারে- লোকজন ভাববে এই লোক থেকে পানিতে বা খাবারেও ছড়াচ্ছে। একজন এইচ আই ভি আক্রান্ত ভাবতে পারে, যদি এভাবেই এতো সহজে ছড়ায় তবে তার স্ত্রী বা স্বামীর সাথে অনিরাপদ যৌন-সম্পর্ক গড়ে তুলতে দোষ কি? আপনি ভাবছেন, এসব অসম্ভব। যে যুক্তিতে আপনি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ঘটনা শেয়ার দিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলবেন ভাবছে, সে যুক্তিতে আপনি কিভাবে অসম্ভব ভাবেন?
১১৪০০ উপর শেয়ারের পোষ্টের সবার কাছে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব না, কিন্তু আমার পোষ্ট যারা ফলো করে তারা যদি সচেতন হয় আমি বিশ্বাস করি, তারা আরও বেশি মানুষকে সঠিক তথ্য দিবে। শেয়ারের চাইতে যুক্তিগুলো বুঝুন এবং মনে রাখুন। কারণ, ফেসবুক পোষ্টের কথা হয়তো এরা খেয়াল রাখবে না, কিন্তু আপনি যদি যুক্তিগুলি ছড়িয়ে দেন তাহলে এই ভুল ধারণা চলে যাবে। নিজে জানুন, তাহলে অন্যকেও জানাতে পারবেন। পোষ্ট শেয়ারের চাইতে, যেখানে এই পোষ্ট দেখবেন সেখানে যুক্তিগুলি শুনিয়ে দিন।
পুনশ্চ:
১. বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা বা প্রশ্ন কমেন্টে আমন্ত্রিত।
২. এই লেখায় অনেক ভুল থাকা স্বাভাবিক। ভুল ধরিয়ে দিলে খুশি হবো। বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিতে ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন।
৩. পরবর্তীতে এইচআইভি এবং এইডস নিয়ে একটি লেখা লিখবো আশা রাখি। প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করুন (মশা দিয়ে কেন এইচ আই ভি ছড়ায় না সেটার ব্যাখ্যাও থাকবে।)
৪. পোষ্ট শব্দটিতে ইচ্ছেকৃতভাবে ষত্ব বিধান মানা হয়নি।
এই পোস্টের সর্বমোট পাঠকসংখ্যা:
6,377
Comments
ভাইরাসঘটিত রোগগুলো পরিক্ষার জনয অনেকক্ষেত্রেই এন্টিবডি টেস্ট করা হয় । মানে লযাবে তৈরী হেপাটাইটিস বি এর এন্টিজেনের সাথে আমার হাত থেকে নেয়া রক্ত মিশালে যদি কোনো বিক্রিয়া দেয় তবে রোগটি আছে । আচ্ছা এখন আমি যদি হেপাটাইটিস বি পরিক্ষা করার কোনো কীট মানে যেটায় এন্টিজেন থাকবে সেটি নিয়ে আমার হাত কেটে রক্তের মধেয লাগাই তাহলে কি আমি ঐ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হব ? Actually ami ek jaygay HIV test koraichilam jekhane সরাসরি আঙ্গুল থেকে ফুটা করে রক্ত দিছি । ওইটা লিট্মাস পেপার টাইপ একটা কাগজ ছিল যেখানে আমি রক্ত দেই আর রক্ত দেয়া অবস্থায় আমার আঙ্গুল ঐটার মধেয (এন্টিজেন/এন্টিবডি যেখানে… আরো পড়ুন