গ্রহ নীহারিকার জন্ম হয় সূর্যের মতো নক্ষত্র যখন তার মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যায়। ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে মহাকাশে নক্ষত্রের নৃশংস “মৃত্যুশয্যা” একই সাথে ভয়ানক এবং সুন্দর হয়ে থাকে।
গ্রহ নীহারিকার সাথে বর্তমানে থাকা গ্রহগুলোর সম্পর্ক নেই, এটার সম্পর্ক মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাওয়া নক্ষত্র আর তার গ্যাস বিচ্ছুরণের সাথে। ছবিতে দৃশ্যমান আকারগুলো মৃত্যুর কাছাকাছি থাকা Red Giant Star এর আয়নিত গ্যাসের খোলস ছাড়া আর কিছু নয়।
বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে এই নীহারিকাগুলো বিভিন্ন রকমের আকার-আকৃতি আর রঙয়ের হয়ে থাকে। মহাশূন্যে দেখা পাওয়া নীহারিকাদের সবচেয়ে সহজলভ্য তিনটি আকার হচ্ছে- গোলাকার, ডিম্বাকার, আর Bipolar।
এই মহাজাগতিক বস্তুদের জীবনকাল খুব ছোট হয়ে থাকে, সাধারণত ১০০০০ বছরের কাছাকাছি। এ কারণেই বিজ্ঞানীদের ডাটাবেইসে মাত্র ৩০০০ এর মতো নীহারিকার রেকর্ড আছে। ক্রমান্বয়ে নীহারিকার মাঝে থাকা Red Giant Starএর আয়নিত গ্যাসের মেঘ ঠাণ্ডা হয়ে যায় আর সেই নক্ষত্রটি ধীরে ধীরে কৃষ্ণ বামনে পরিণত হয়। আর মহাশুন্যের মহিমান্বিত আঁধারে আমরা তাকে আর দেখতে পাই না। কারণ, সে আর আলো ছড়ায় না।
১ম ছবিতে প্রায় ১০০টির মতো নীহারিকার ছবি আছে। আপনি কয়টি চিনতে পারছেন? আমিও পারি নি, তাই From Quarks to Quasar তাদের প্রবন্ধে (যেটা আমি অনুবাদ করছি) উত্তরসহ ছবি প্রকাশ করেছেন।
মহান শিক্ষক কার্ল সেগানের এই অসাধারণ উক্তিটি দিয়ে এই অনুবাদ প্রবন্ধ শেষ করছি- ধন্যবাদ।
অনুবাদে- আদৃতা হাবীব ও শোভন রেজা