২০১৪ এর ডিসেম্বরে, সুন্দরবনের নদীতে একটা ট্যাংকার থেকে প্রায় ৪ লক্ষ মিটার ফার্নেস অয়েল পড়ে গিয়েছিলো। এর প্রভাব কী কী হতে পারে? আসুন দেখে নিই…
১) মিঠাপানির ডলফিন হবে এটার প্রথম শিকার। কারণ, এই নদীটা ছিলো তাদের অভয়ারণ্য। তেলের স্তর পানির ওপরে থাকবে বলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে।
২) জোয়ারের সময় তেল চলে যাবে ডাঙ্গায়, লেগে থাকবে ওখানকার উদ্ভিদের গায়ে। আর পাশাপাশি নষ্ট করবে মাটির ওপরের স্তরকে, যা নষ্ট করবে অনেক অনেক উদ্ভিদ যেগুলো খেয়ে হরিণ বেঁচে থাকে।
৩) হরিণের সংখ্যা কমে গেলে সেটা বাঘের সংখ্যার ওপরেও প্রভাব ফেলবে।
৪) সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, পশুর, গোলপাতার মত উদ্ভিদ, যেগুলো লবণাক্ত পানিতে ভালো জন্মায়, সেগুলোর বংশবিস্তারে সমস্যা হবে। কারণ, এগুলোর বীজ মাটিতে পড়ার পর অংকুরোদগম হবেনা তেলের কারণে। অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য মজুদেও তাই টান পড়বে।
৫) মাছ আর কুমিরের বেঁচে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে দেখা গেছে যে, পানির মস-জাতীয় উদ্ভিদে, নদীর তীরে তেল জমা হতে শুরু করেছে।
ছবি – সংগৃহীত, https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152866107161043
এ সংক্রান্ত কিছু রেফারেন্স পেপার পাওয়া যাবে কি?
Thanks for information for Bangladeshi heritage place accident of oil tanker.❤❤❤❤❤❤♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️😭😭😭😭😭😭😭